আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুরমিত রামরহিম সিংয়ের বিপদ আরও বাড়ছে। সম্ভ্রমহানীর মামলায় আগেই ২০ বছরের সাজা হয়েছে তার। এবার তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ সামনে এলো। শুধুমাত্র প্রাপ্তব্যস্ক মহিলাই নয়। রামরহিম কমপক্ষে ১০ অপ্রাপ্তবয়স্কের (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করেছেন বলে দাবি ডেরা সাচা সওদার সাবেক সদস্য গুরদাস সিং তূড়ের।
খুব দ্রুতই অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি। সিবিআইয়ের চার্জশিটে রামরহিমের বিরুদ্ধে আরও ছয় মহিলার সম্ভ্রমহানীর অভিযোগ রয়েছে। আদালতে যার অন্যতম সাক্ষী গুরদাস। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, 'বহু মেয়েরাই ডেরার স্কুলে পড়ত। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করেছিলেন রামরহিম। যাদের বেশিরভাগই এখন বিবাহিতা। একজন তো আবার বিদেশ চলে গিয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ রযেছে আমার। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবা তার ওপর (প্রচার অযোগ্য শব্দ)।
নিজের মা-বাবাকে জানিয়ে লাভ হয়নি। বরং জোর করে তাকে স্কুলে ফেরত পাঠানো হয়। আজও তার পরিবার বাবার ভক্ত।' নির্যাতিতার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ রয়েছে গুরদাস সিং তূড়ের। কথোপকথন চলাকালীন ওই মহিলা লিখেছেন, 'রামরহিম গ্রেপ্তার হওয়ার দিন কয়েক আগে বাড়ি গিয়েছিলাম।
তখন মা-বাবাকে ওর ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে বলি। কিন্তু উল্টে আমাকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হল।' নির্যাতিতা ১০ জনের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন গুরদাস। সিবিআই আদালতের রায়কে নাকি প্রত্যেকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বিবাহিত জীবনের কথা মাথায় রেখে প্রকাশ্যে আসতে রাজি নন কেউ।
ডেরার হাসপাতালে এইসব মেয়েদের জোর করে গর্ভপাত করানো হতো বলেও দাবি করেছেন গুরদাস। যার মধ্যে তিনি নাকি তিনটির সাক্ষী ছিলেন। অনাথ শিশুদের জন্য 'শাহী বেটিয়া' নামের একটি অনাথ আশ্রম রয়েছে ডেরার। সেখানকার অসহায় শিশুদেরও রেহাই দিতেন না ডেরা প্রধান গুরমিত রামরহিম সিং।
এমটিনিউজ/এসএস