আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাতে কলেজের বন্ধ ঘরে অজ্ঞাতপরিচয় যুবতির সঙ্গে অধ্যক্ষকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। থানার নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ধৃত অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ জমা না পড়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতরাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটের কুরমাইল এলাকায়।
জেলায় একমাত্র সরকারি বিএড কলেজ রয়েছে বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়ার কুরমাইল এলাকায়। যেখানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মিলনকুমার সাহা। বালুরঘাট স্টেট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া থাকেন তিনি। ওই কলেজে গতরাতে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে সকলে চলে গেলেও অধ্যক্ষ কলেজে থেকে যান। সেটি লক্ষ্য করেন গ্রামবাসীরা।
তারা দেখেন, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ টোটো চেপে এসে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা কলেজে ঢোকেন। এরপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় ভিতর থেকে। একটি বন্ধ ঘরের মধ্যে এক যুবতি এবং অধ্যক্ষকে এইভাবে ঢুকতে দেখে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে কলেজ। খবর পেয়ে রাত ১০টা নাগাদ বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায়।
পুলিশের ডাকাডাকিতেও প্রথমে ঘর খোলেননি অধ্যক্ষ। পুলিশ পৌঁছনোর অন্তত ২০ মিনিট পর ঘর খুলে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। অবশেষে কলেজ থেকে অধ্যক্ষ এবং যুবতিকে মুখ ঢেকে বের করে থানায় নিয়ে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ।
তবে তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ধৃতদের পুলিশ ছেড়ে দেয়। এক্ষেত্রে পুলিশ কেন ধৃতদের গ্রেপ্তার করল না তা নিয়েই প্রশ্ন গ্রামবাসী থেকে সকলের। আর অধ্যক্ষের সাথে ঘরে থাকা ওই যুবতীর পরিচয়ও প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এমটিনিউজ/এসএস