রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০২:১৭:১২

মিয়ামারের জন্য একটি খারাপ খবর!

মিয়ামারের জন্য একটি খারাপ খবর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ামারের জন্য একটি খারাপ খবর! বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকায় মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার খবর অনবরত প্রকাশ পাওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির পর্যটন খাতে। অনেক বিদেশি পর্যটক মিয়ানমার সফর বাতিল করছেন বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের টুরিজ্যম ফেডারেশন। ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার

ফেডারেশনের চেয়ারম্যান উ খিন অং তান বলেছেন, তার দেশে পর্যটক আগমন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। অনেক দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের মিয়ানমার সফরে যেতে বারণ করছে। ব্রিটেন তার নাগরিকদের ইতিমধ্যে মিয়ানমার সফরের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। এর ফলে মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটকদের ভিড় কমছে। নাগাপালি সৈকতে বিদেশি পর্যটকও হ্রাস পেয়েছে।

খিন অং তান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রাখাইনে সহিংসতা ও মানবিক সাহায্যের বিষয়টি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া এসব খবর বেশ ফলাও করে প্রকাশ করছে। প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মিডিয়া সিএনএন ও বিবিসি ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা নির্যাতনের খবর প্রকাশ করছে যাচাই না করেই। এবং এধরনের সংবাদ মিয়ানমারের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

খিন অং তান আরও বলেন, পর্যটকরা জানতে চাচ্ছে মিয়ানমার সফর নিরাপদ কী না। আমরা তাদের বলছি রাখাইন অঞ্চলে মাত্র তিনটি শহর আক্রান্ত হয়েছে এ ধরনের সাম্প্রতিক অভিযানে। এছাড়া পুরো মিয়ানমার ভ্রমণ নিরাপদ।

ইয়াঙ্গুনের সেভেন ডেয়েস ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস কোম্পানির সেলস ম্যানেজার উ কং সিতু জার্মানির নাগরিকরা এখনো মিয়ানমার ভ্রমণ অব্যাহত রেখেছেন। অনেক ট্রাভেল কোম্পানি ভ্রমণ বাতিল করছে।

খিরি ট্রাভেলের এ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মি স্টিফেন শেরেয়ার জানান, রাখাইন অঞ্চলের সংকট মিয়ানমারের অন্য নিরাপদ অঞ্চলে পর্যটকদের ভ্রমণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ট্রাভেল অপারেটররা আশা করছেন পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে। তবে তা যদি দীর্ঘায়িত হত, অবশ্যই বিষয়টি পর্যটন খাত ছাড়াও মিয়ানমারের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে জানান খিন অং তান।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ৪ লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন, লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তা গণহত্যা বলে মিয়ানমারের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশটির অং সাং সুচি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে