সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩৩:৩২

মাদ্রাসার পানির ট্যাঙ্কে ইঁদুর মারার বিষ, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

মাদ্রাসার পানির ট্যাঙ্কে ইঁদুর মারার বিষ, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার নিশানায় ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির স্ত্রীর মাদ্রাসা। অভিযোগ, সালমা আনসারির পরিচালিত মাদ্রাসার পানীয় জলে বিষ মিশিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতির স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খোঁজ চলছে দুই সন্দেহভাজনের। আলিগড়ে ‘চাচা নেহেরু’ নামের একটি মাদ্রাসার পরিচালনা করেন সালমা আনসারি। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে সেখানে বিনামূল্যে পড়ানো হয়।

আলিগড়ের পুলিশ সুপার রাজেশ পান্ডে জানিয়েছেন, মাদ্রাসার চৌহদ্দির মধ্যে থাকা একটি কল থেকে জল খেতে গিয়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে দেখতে পায় এক ছাত্র। তারা জলের ট্যাঙ্কে কিছু মেশাচ্ছিল। তারপরই ঘটনাটি শিক্ষকদের জানায় ওই শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে জলের নমুনা ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন সালমা আনসারি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটির পর আতঙ্কিত মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মাদ্রাসা চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাদ্রাসাটির ওয়ার্ডেন জুনেইদ সিদ্দিকি জানান, মহম্মদ আফজাল নামে এক পড়ুয়াই দুই ব্যক্তিকে জলের ট্যাঙ্কে ট্যাবলেটের মতো কিছু মেশাতে দেখে ফেলে। সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারপরই পকেট থেকে পিস্তল বের করে ওই পড়ুয়াকে হুমকি দিয়ে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর জলের ট্যাঙ্কের পাশে ইঁদুর মারার বিষের প্যাকেট দেখতে পায় ওই পড়ুয়া। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তড়িঘড়ি জলের ট্যাঙ্কটিকে সিল করে দেওয়া হয়।

মাদ্রাসায় থেকে কয়েক হাজার পড়ুয়া ওই বিষাক্ত জল পান করলে কী পরিস্থিতি হত তা ভেবেই শিউরে উঠছেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতির স্ত্রী। দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সালমা আনসারি। শুধু তাই নয়, মুসলিম সমাজে উদারপন্থী হিসাবেও তার আলাদা পরিচিতি আছে।

তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এবার তার মাদ্রাসায় ঘটা এমন ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বরেলি থেকে বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভির বোনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। বারবার এধরনের ঘটনায় উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে