আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারিবারিক ঝগড়া থেকে রাগ। সেই রাগ মেটাতেই অ্যাসিড দিয়ে ৬ মাসের ভাইঝির চোখ নষ্ট করে দিল কাকা। ইঞ্জেকশন দিয়ে শিশুর চোখে অ্যাসিড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শিশুটির দুই চোখই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক টানাপোড়েনের পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলেও শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দাদা ও বৌদির ওপর রাগে ৬ মাসের ভাইঝির চোখে অ্যাসিড ঢেলে দিল পাষন্ড কাকা। শিশুটির মায়ের গায়েও অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কলকাতার সোনারপুর সূর্য সেন কলোনীতে এই ঘটনায় অভিযোগ পরিবারের ছোট ছেলে বিপ্লবের দিকে।
সূর্য সেন কলোনিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন জয়ন্ত। দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে পারেনি পরিবার। প্রায় প্রতিদিনই দাদার সঙ্গে গন্ডগোল করত বিপ্লব। তাতে ইন্ধন ছিল পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি ফেরেননি জয়ন্ত। সেই সুযোগেই বৌদির গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেয় বিপ্লব। পরে ভাইঝির চোখে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অ্যাসিড ঢুকিয়ে দেয়।
শিশুটির বাঁ-চোখ সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা৷ কর্নিয়া ও টিস্যু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চোখ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ ডান চোখও প্রায় নষ্ট৷ শিশুটির প্রাণ বাঁচানোই চ্যালেঞ্জ ধরছেন চিকিৎসকরা৷ কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন বিপ্লব। পারিবারিক হিংসার বিভৎস রূপ লজ্জায় দেবে। কেন ৬ মাসের ভাইঝিকে আক্রমণের নিশানা করল বিপ্লব?
ঘটনার পর বহুক্ষণ বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরলেও শিশুটির ঠিকমতো চিকিৎসাই হয়নি। এরই মধ্যে কাজ হারানোয় প্রবল দুরাবস্থার মধ্যে পড়তে হয় জয়ন্তবাবুকে। সোমবার উদ্যোগী হয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান একটি ক্লাবের সদস্যরা।
বিপ্লব ও সহ বাকি অভিযুক্তরা ফেরার। তাদের খোঁজে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। মরণাপন্ন মেয়ে ও আহত স্ত্রীকে নিয়ে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখে জয়ন্তবাবু।
এমটিনিউজ/এসএস