আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন 'উন্মাদ' মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণেই তিনি বুঝেছেন যে, তার দেশের জন্য পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ না করে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কিম বলেন, "জাতিসংঘে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংসের হুমকি দিয়েছেন, সে ভাষণের জন্য তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে"। ওই বিবৃতিতে ট্রাম্পকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেও উল্লেখ করেন কিম জং উন।
এর প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইটারে কিমকে 'ম্যাডম্যান' বা 'উন্মাদ ব্যক্তি' বলে মন্তব্য করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লিখেছেন "উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন যে সত্যিকার অর্থেই একজন উন্মাদ ব্যক্তি, যে আসলে তার দেশের মানুষকে হত্যা করা বা তার মানুষ না খেয়ে মরছে তা মোটেও পরোয়া করে না। সে এমনভাবে তার কর্মের স্বাদ ভোগ করবে যেমনটা আগে কখনোই হয়নি"।
এর আগে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি আমেরিকাকে নিজেদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য করা হয় তবে তারা উত্তর কোরিয়াকে 'সম্পূর্ণ ধ্বংস' করে দেবে। তিনি কিমকে 'আত্মঘাতী মিশনে থাকা রকেট ম্যান' বলেও ব্যঙ্গ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই নেতা বেশ বাকযুদ্ধে মেতেছেন, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করছেন।
নিজের বিবৃতির শেষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন "আগুনের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতভাবে এবং অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ভীমরতিগ্রস্ত এই বৃদ্ধকে আমার হাতের মুঠোয় আনবো।"
দুই নেতা একে অপরকে 'উন্মাদ' বলার এই বাকযুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে "পরিস্থিতি জটিল ও সংবেদনশীল' হয়ে উঠেছে। একে অপরকে হুমকি না দিয়ে প্রত্যেকের উচিত সংযমের মধ্যে থেকে আচরণ করা।"
রাশিয়াও আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার মুখপাত্র বলেছেন, "দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা চরমে উঠছে তাতে মস্কো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে"।
এমটিনিউজ/এসবি