ভোট গ্রহণ শুরু, ভোট দিলেন সু চি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঐতিহাসিক এনির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল মিয়ানমার। দেশটিতে গত আড়াই দশকের মধ্যে প্রথম বহুদলীয় অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রোববার সকালে ইয়াংগুনের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি। ২৫ বছরের বেশি সময় পর মিয়ানমারে সব দলের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। রোববারের এই নির্বাচনে ৯২টি দল অংশ নিচ্ছে।
রোববার সকালে ব্যস্ত রাস্তায় ভােটারদের ভিড় অতিক্রম করে ইয়াংগুনের একটি ভোট কেন্দ্রে নিজের গাড়িতে করে ভোটদিতে যান সু চি। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আন্তর্জাতিকসহ সকল সংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তার পরেনে ছিল লাল রঙের টপ ও চুলে ফুলের একটি ছােট মালা গোঁজা ছিল। ভোটাররা তাকে দেখে ‘জয়, জয়’ বলে চিৎকার করতে থাকায়, এসময় সু চি বলেন, ঐতিহাসিক এই নির্বাচনে আমার দল জয় লাভ করবে।
পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সু চির এনএলডির জয়লাভের সম্ভাবনা বেশি। নির্বাচনের ৯২ টি দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সু চির এনএলডি ও ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) মধ্যে।
এর আগে সু চি নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে বলে অাশঙ্কা প্রকাশ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউএসডিপি যদি হেরে যায় তাহলে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে দুঃশ্চিন্তা দেখা গেছে।
উল্লেখ্য : ১৯৬২ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গৃহবন্দী থাকা সত্ত্বেও সামরিক একনায়তন্ত্রের অধীনে ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন সু চি-র এনএলডি। সামরিক সরকার নির্বাচনী ফল প্রত্যাখ্যান করায় সে সময় ক্ষমতাগ্রহণ তো দূরে কথা, গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি মেলেনি সু চির।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গৃহবন্দি সু চি ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পেলে এনএলডির জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠে আসে। ২০১২ সালের উপ-নির্বাচনে ৪৫টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে জয়ী হয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় দলটি।
এর আগে ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন হলেও তাতে অংশ নেয়নি এনএলডি। এর ছয় দিনের মাথায় সু চি গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান।
৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�