ঘর থেকে বেরুলেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের গুলির হুমকি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘদিনের সেনা শাসন থেকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরুর লক্ষে মিয়ানমারে ভোট দিচ্ছেন দেশটির নাগরিকরা। তবে এ নির্বাচনে দেশটির প্রায় ৩০ লাখ মুসলমান ভোট দিতে পারছেন না অধিকাংশ মুসলিম ভোটার। রাখাইন অঞ্চলের রাজধানী মায়ুংড এবং এর আশপাশের বেশ কিছু এলাকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভোটের দিন বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। ওইদিন তারা বাড়ি থেকে বেরুলেই তাদের গুলি করে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। দা বার্মা টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে।
তিন কোটি ভোটার ভোট দিতে পারলেও অধিকাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম ও রোহিঙ্গারা ভোট দিতে পারছেন না। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার ৫ থেকে ১০ ভাগ সংখ্যালঘু তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
খবরে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাখাইনের রেকোয়া-৫ অঞ্চলের প্রবীণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এসময় তারা ওই মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রোববার ভোটের দিন বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেন। এ নির্দেশ অমান্য করা হলে তাদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দেয়া হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, রাখাইন মুসলিমরা ভোটের দিন সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা এবং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ভোটের দিন ঘর থেকে এক পা বাইরে বের হবে না। বের হলেই গুলি। বাঁচতে চাইলে ঘরের বেতর বন্দি থাকবে।’ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের এ হুমকির পর রোহিঙ্গারা কোনো ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া বাড়িতে আটকা পড়েছেন।
মিয়ানমারে গণতন্ত্রে ফেরার এ নির্বাচনটি শুরু থেকেই মুসলিম বিরোধী প্রচারনার রূপ নিয়েছে। নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্রার্থীরা ভোটারদের এই বলে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছেন, মুসলিমদের ভোট দিলে তারা রাখাইন রাজ্যটি দখল করে নেবে। এছাড়া নির্বাচনের আগেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�