আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের দেশ বুর্কিনা ফাসোতে সামরিক অভ্যূত্থানের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিলুপ্তিরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। জাতীয় বেতার ও সম্প্রচারমাধ্যমগুলো দখলে নিয়ে এ অভ্যুত্থান ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
কয়েক সপ্তাহ পরই দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় বেতার ও সম্প্রচারমাধ্যমে এ অভ্যুত্থান ঘোষণা করা হয়। অবশ্য অভ্যুত্থানের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ক’দিন আগে অভিজাত প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড ইউনিটের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করলেই। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্য হলো।
এক তথ্য বিবরণীতে লে. কর্নেল মামাদু বামবা নির্বাচন সংক্রান্ত একটি আদেশের সমালোচনা করে বলেন, ওই আদেশের সাবেক প্রেসিডেন্টের দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, যা সংবিধানপরিপন্থি।
রাজধানী ওউগাদুগুসহ বিভিন্ন রাস্তায় বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সেখানে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। জনগণকে ভয় দেখানোর জন্যই সেনাবাহিনী গুলি ছুাড়ছে ধারণা করা হচ্ছে। সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সাঁজোয়া যান নিয়ে সড়কে সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। তবে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। তারা বেঁচে আছেন কিনা সে বিষয়েও কোনো তথ্য মিলছে না।
১১ অক্টোবর দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও গঠিত হয়েছিল। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে কয়েক দশকের প্রেসিডেন্ট ব্লেজ কমপাওরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়েছিল।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/