আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। জানাচ্ছে নাসা। আর এই চুপসে যাওয়ার পিছনে রয়েছে পৃথিবী। লুনার রিকনিশনস অরবিটার ক্যামেরা (এলআরওসি) থেকে পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে উঠে আসছে এই তত্ত্ব।
২০০৯-এ এই মহাকাশযানটিকে উৎক্ষেপণ করে নাসা। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের চারপাশে ঘুরে সবিস্তারে তথ্য সংগ্রহ করা। এত দিন ধরে সেই কাজ চালাচ্ছিল এলআরওসি। আমেরিকার মেরিল্যান্ডে নাসার কেন্দ্রে ডিসকভারি প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা সেই তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন।
উচ্চ রেজলিউশনের ছবি পাঠাচ্ছিল এলআরওসি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছিল চাঁদের গায়ে ভাঁজ ও ফাটলের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রথমে বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়েছিল চাঁদের কেন্দ্রে থাকা উত্তপ্ত অংশ ধীরে ধীরে শীতল হচ্ছে। এতেই ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে চাঁদ। ফলে চাঁদের ভূত্বকে ভাঁজ ও ফাটল তৈরি হচ্ছে। দেখা গেল অনেক ভাঁজ, ফাটলই বেশ নবীন।
কিন্তু হিসেব মিলছিল না। ক্রমেই বিজ্ঞানীদের মনে হত লাগল চাঁদের এই অবস্থার জন্য শুধু চাঁদই দায়ী নয়, অন্য কোনও শক্তিও আছে। ফলে আরও গবেষণা চলল। শেষে মিলল অদ্ভুত তথ্য। নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দায়ী পৃথিবী।
এতদিন আমরা জানতাম চাঁদের প্রভাবে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা হয়।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই জোয়ার-ভাটাই উল্টে চাঁদের উপরেও প্রভাব বিস্তার করে। পৃথিবীর জোয়ার-ভাটার ধাঁচাটি চাঁদের এই ভাজ ও ফাটলের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীদের তৈরি গাণিতিক মডেল দেখাচ্ছে চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে সব চেয়ে দূরে থাকে তখন এই প্রভাব সব থেকে বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়া বেশ সক্রিয়। ফলে এখন অনেক ভাঁজ ও ফাটল তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে চাঁদ।-সূত্র: আনন্দবাজার
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে