আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধের হুমকি-ধামকি শেষ হতে না হতেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। এবার ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পরমাণু বোমা হামলা চালানোর সক্ষমতা পাকিস্তানের রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব অবসর প্রাপ্ত লে. জেনারেল নাঈম খালিদ লোদি।
রাজধানী ইসলামাবাদ ভিত্তিক থিংক ট্যাংক স্ট্রাটেজিক ভিশন ইন্সটিটিউট বা এসভিআই’এর সেমিনারে তিনি বলেন, প্রচলিত অস্ত্রে ভারতের একক প্রাধান্য রয়েছে; আর এর মোকাবেলায় পাকিস্তানের পাল্টা পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতার বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।
শত্রুর হামলায় ভূমি ভিত্তিক প্রধান পরমাণু বোমার ভাণ্ডার অকেজো হয়ে পড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে শক্রকে জবাব দিতে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বোঝাতে সেকেন্ড স্ট্রাইক বা পাল্টা পরমাণু হামলা শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
নাঈম খালিদ লোদি বলেন, প্রচলিত অস্ত্রে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ভারসাম্যহীনতা দিনে দিনে বাড়ছে। এ সত্ত্বেও পরমাণু বোমার ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সমতা বজায় রয়েছে। আমাদের পরমাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্ভরযোগ্য।
পাল্টা পরমাণু হামলা ব্যবস্থা ভূমি, আকাশ বা সাগর ভিত্তিক হতে পারে কিন্তু এ সত্ত্বেও পাকিস্তানের এ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশদ কোনো তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকেন খালিদ লোদি।
পাল্টা পরমাণু হামলা নিয়ে আলোচনার সময়ে এসভিআই্’এর সভাপতি ড. জাফর ইকবাল চিমা বলেন, পাকিস্তানের এ সংক্রান্ত সক্ষমতা উন্নত হয়েছে। পরমাণু বোমাবাহী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হাতেফ-৭ বা বাবর মোতায়েনের মধ্য দিয়ে এ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটে। বিমান বা প্রচলিত ডুবোজাহাজ থেকে হাতেফ-৭ বা বাবর ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া যায়।
এ ছাড়া, বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য হাতেফ-৮ বা রা’দ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের এ সক্ষমতা আরো বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা (এসএলবিএমএস)’কে পাল্টা পরমাণু হামলা চালানোর সেরা পন্থা বলে উল্লেখ করেন ইকবাল চিমা। অবশ্য পাকিস্তান বা ভারত কেউ এখনো এ পদ্ধতি মোতায়েন করে নি বলে জানান তিনি। সূত্র: রেডিও তেহরান
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস