আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘ক্ষমতা পাগল নারী’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মার্কেন্ডেয় কাটজু।
ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীর প্রতিকৃতিযুক্ত ডাকটিকিট ছাপানো বন্ধ করার বিজেপি সরকারের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের ব্লগে এ কথা লিখেছেন তিনি।
অবশ্য এরই মধ্যে গান্ধীজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কে মন্তব্য করে কঠোর বিতর্কে পড়েছেন কাটজু।
নিজেকে বিজেপি সরকারের সমর্থক নন বলে দাবি করে কাটজু নিজ টুইটার ব্লগে লিখেন, ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীর প্রতিকৃতিযুক্ত ডাকটিকিট ছাপানো বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার মধ্যে দোষের কিছু নেই।
তিনি লিখেছেন, ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন ক্ষমতা পাগল নারী এবং ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজনে যা কিছু করা দরকার তা করতে ইচ্ছুক ছিলেন তিনি। এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্বাচনের জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৫ সালে ভারতে ভুয়া জরুরি অবস্থা জারি করেন বলেও উল্লেখ করেন কাটজু।
শ্রীলংকায় বিনা কারণে ভারতীয় সেনা পাঠানোর রাজীব গান্ধীর সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এতে কয়েক হাজার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সাবেক বিচারপতি কাটজু।
গত মার্চে ভারতের জাতিরজনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, গান্ধীজি এদেশে ইংরেজদের প্রতিনিধি ছিলেন। দেশের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির বীজ বপন করেছিলেন।
রাজনীতি এবং ধর্মকে এক করে দীর্ঘ দশক ধরে দেশের মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করেছেন গান্ধীজি। একইসঙ্গে সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ব্রিটিশদের হাতের কাঠের পুতুল আর সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন জাপানিদের এজেন্ট।
এর আগে ভারতের বিভিন্ন স্থানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, আমি একজন হিন্দু কিন্তু আমি গরুর মাংস খেয়েছি। ভবিষ্যতে আবারো খাব। তথ্যসূত্র : রেডিও তেহরান/জিনিউজ
১৮ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম