বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:২৮:০৯

ইসরাইলি দুই সেনার গালে চড় মারা সেই ফিলিস্তিনি কিশোরী এখন কোথায়?

ইসরাইলি দুই সেনার গালে চড় মারা সেই ফিলিস্তিনি কিশোরী এখন কোথায়?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে আলোচিত দখলদার ইসরাইলি দুই সেনার গালে চড় মারা ফিলিস্তিনি সেই সাহসী কিশোরী আদ তামিমির জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার ইসরাইলের সামরিক আদালত আদ তামিমিকে আরো চার দিন আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন। মূলত ঘটনার অতিরিক্ত তদন্তের জন্য তাকে বন্দী রাখার এই আদেশ দেয়া হয়। ষোড়শী আদ তামিমি গত সপ্তাহে তাদের বাড়িতে দুই সেনার গালে চড় মারার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এ অভিযোগে তার মা ও এক আত্মীয়াসহ তাকে গত ২২ ডিসেম্বর আটক করে ইহুদি ইসরাইলি সেনারা।

আদ তামিমিকে আটক ও তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করায় বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয় ইসরাইলি বাহিনী। ঘটনাটি তোলপাড় সৃষ্টি করে সামাজিক মাধ্যমে। পশ্চিম তীরের নবী সালেহ গ্রামের কিশোরী আদ তামিমিদের বাড়িতে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে অভিযান চালায় ইসরাইলি সেনারা। বাড়ির বিভিন্ন মালামাল লুট করতে গেলে ইসরাইলি সেনাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এই কিশোরী ও তার মা। তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতে গেলে একপর্যায়ে দুই সেনার গায়ে চপেটাঘাত করে এ ষোড়শী। এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে আরব বিশ্বের গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। পরদিন সকালে তাকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরাইলি সেনারা। আদ তামিমিকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তার মাকেও আটক করা হয়।

আরো ৩০ ফিলিস্তিনি আটক
এ দিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক রাতের অভিযানে ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইলি বাহিনী। রোববার রাতে অভিযান চালায় তারা। আটকদের মধ্যে আটজন পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলের কাসরা গ্রামের। ইসরাইল সেনাবাহিনীর দাবি, আটকেরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রায়ই এ রকম অভিযান চালিয়ে থাকে। ২০ ডিসেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ২৪ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে ইসরাইলে ৬ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন।

এর আগে সোমবার ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের একটি সংগঠন জানিয়েছিল, পশ্চিম তীর ও জেরুসালেম থেকে ৪৩০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে ২৩১ জন শিশু, ৯ জন নারী ও তিনজন আহত ফিলিস্তিনি রয়েছে। আর ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ২ হাজার ৮০৯ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। একই সময়ে গাজা উপত্যকায় চিকিৎসা নিয়েছেন ৬২৪ জন।-আল আরাবিয়া
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে