আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লোহার রড দিয়ে দুই ঘণ্টা নির্মমভাবে পিটিয়ে ৬ জনকে খুন করেছে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা। হাসপাতালে এক মহিলাকে খুন করার পর আগ্রা রোডে আরও পাঁচজনকে খুন করেছে সে। এরপরেই শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে সাইকো কিলার আতঙ্ক।
মঙ্গলবার ভোররাতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পালওয়ালে। তবে কী কারণে এই ঘটনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর পালওয়াল শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক খুনির নাম নরেশ ধনকাদ (৪৫) এবং সে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট। এখন সে হরিয়ানা কৃষি বিভাগে চাকরি করে। এ ঘটনার পর থেকে পালওয়াল সিভিল হাসপাতাল কার্যত শুনশান।
সংবাদ সম্মেলনে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “পুলিশ সবগুলো মৃতদেহই দুই কি তিন কিলোমিটারের ব্যবধানে খুঁজে পেয়েছে। মনে হচ্ছে, এক ঘণ্টার মধ্যেই খুনগুলো করেছে সে। সতকর্তা হিসেবে লোকজনকে বাসায়ই অবস্থান করতে বলেছি আমরা।”
পালওয়ালের আদর্শ নগর এলাকায় থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের যে দলটি তাকে গ্রেপ্তার করে তাদের ওপরও হামলা করেছিল সে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রথমে শহরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে তাকে একই রাজ্যের বড় শহর ফরিদাবাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খুনের বর্ণনা দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অন্তঃস্বত্তা ননদকে ভর্তি করিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের অঞ্জুম। হঠাৎই তাঁর ওপর লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় বছর নরেশ ধনকাদ। খুনের পর অঞ্জুমের দেহ হাসপাতালের ওয়াশরুমে লুকিয়ে রাখে। হাসপাতালেই রড নিয়ে মিনিট পাঁচেক ঘুরে বেড়ায় সে।
কিন্তু রাতের হাসপাতালে থাকা হাতে গোনা কয়েকজন কেউই সাহস করে খুনিকে ধরতে এগিয়ে আসেনি। রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে সে। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর খুনির অবস্থান বুঝতেই কিছুটা সময় কেটে যায়। সবকটি খুনই হয় আগ্রা রোড থেকে মিনার বাজারের মধ্যে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শেষপর্যন্ত সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ খুনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি