আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এই সমাজে এমনও লোক আছে, যার একদিনের খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকে কোনরকম। তবে মায়ের সামনেই খাবারের অভাবে ছেলের করুণ মৃত্যু হয়তো মেনে নেয়া যায় না, অন্ততপক্ষে একজন মায়ের জন্য অসহ্যরকম বেদনাময়। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কুদারিয়া ইখলাসপুর গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। ৪২ বছরের ছেলেটির নাম নিমচাঁদ।
মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, না খেয়ে কেউ মারা গেলে তার জন্য গ্রামের প্রধান থেকে শুরু করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও দায়ী থাকবেন। ব্যারেলি জেলা থেকে নিমচাঁদের গ্রামের দূরত্ব ছিল মাত্র ৩০ কিলোমিটার।
নিমচাঁদ, তিনদিন ধরে না খেয়ে থাকতে পেরে ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের সামনেই মারা যান। তবে নিমচাঁদ দুই বছর আগে প্যরালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় জীবিকা অর্জনের সব পথই বন্ধ হয়ে যায়। ঘর থেকে বের হতে পারতেন না। বিয়ে করেননি। সংসার বলতে মা-ই ছিল একমাত্র অবলম্বন। তাই বেশ কষ্টে কাটাতে হচ্ছিল দিন।
১৫ দিন আগে আবারও প্যারালাইটিক আক্রমণ হয় নিমচাঁদের শরীরে। তার চিকিৎসা করার সাধ্য ছিল না মায়ের। ঘরে সম্বল বলতে ১০ দিন আগে পাওয়া কিছু খাবার ও কেরোসিন। ছেলের জন্য কবিরাজের কাছ থেকে ওষুধ আনতে তা বিক্রি করে দেন মা কিল্লো দেবী। সেই টাকাও শেষ হয়ে যাওয়ায় গত তিন দিন ধরে না খেয়েছিলেন। অসুস্থ শরীর এত ধকল সহ্য করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার না খেতে পেয়ে মায়ের সামনেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলেন নিমচাঁদ।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস