আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান রাজপরিবারের ভিন্ন মতালম্বীদের দমন করতে একটি এলিট বাহিনী ব্যবহার করছেন। আল-আজরাব সোর্ড (মরচে ধরা তলোয়ার) নামক এই বাহিনী সরাসরি যুবরাজের কাছে রিপোর্ট করে। সদ্য আরোপিত কৃচ্ছ্রতার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রিয়াদে সমবেত ১১ জন প্রিন্সকে এই বাহিনী গ্রেফতার করে।
বিশেষ এই বাহিনীর নামকরণ করা হয়েছে দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্র নজদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ আল সউদের তলোয়ারের নামানুষারে। কথিত আছে ইমাম তুর্কি একবার তার তলোয়ারের ওপর মরিচ জমতে দেখে সেটিকে আল-আজরাব নাম দেন।
সৌদি সূত্রে জানা গেছে, দেশটির জাতীয় পতাকায় কালেমায় তাইয়েবার নিচে যে তলোয়ারের ছবি রয়েছে সেটিও এই তলোয়ার। তলোয়ারটি ১৫০ বছরেরও বেশি বাহরাইনে সংরক্ষিত ছিল। ২০১০ সালে বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খালিফা তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহকে সেটি উপহার দেন।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাদশাহ সালমান দায়িত্ব নেয়ার পর একটি এলিট ফোর্স হিসেবে আল আজরাব সোর্ড ব্রিগেড গঠন করা হয়। সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পদমর্যাদার পাঁচ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত হয়েছে এই বাহিনী। সেনা, নৌ, বিমান ও রাজকীয় বাহিনীর সদস্যদের মধ্য থেকে নেয়া হয়েছে তাদের। এই বিশেষ বাহিনীর তদারকি করেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। প্যারাস্যুট, দাঙ্গা দমন, স্নাইপার, বিস্ফোরক, স্কুবা ডাইভিংসহ উচ্চপর্যায়ের সব ধরনের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বাহিনীর সদস্যদের। এই বাহিনীর দায়িত্ব কী বা কী উদ্দেশ্যে এটি গঠন করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, স্পর্শকাতর ও সরাসরি রাজকার্য সম্পৃক্ত কাজ করে এরা।-আলজাজিরা
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস