আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। যেদিকে চোখ যায় শুধুই সাদা। হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল নয়, চিত্রটা সাহারা মরুভূমির। যেখানে সাধারণত শুধু বালি দেখা যায়।
মরুভূমিতেও পড়ল বরফ। তাও আবার বিখ্যাত সেই সাহারা মরুভূমি। যা বিশ্বের অন্যতম উষ্ণ অঞ্চল নামেই পরিচিত। প্রকৃতির খেয়ালে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে সাহারা মরুভূমির বিস্তীর্ণ এলাকায়।
সাধারণত গরমের সময় আফ্রিকার সাহারায় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। নির্দিষ্ট কয়েকটি ছোট ঝোপঝাড় ছাড়া আর কিছুই যেখানে মাথা তুলতে পারে না। মরুভূমির কোথায় শুরু, কোথায় শেষ, সেই সকল প্রশ্নের উত্তর আজ অজানা। একইসঙ্গে এই মরু এলাকায় তুষারপাত ঘিরেও শুরু হয়েছে রহস্য।
যদিও স্থানীয় প্রবীণদের কাছে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও এই চিত্র দেখা গিয়েছিল সাহারা মরুভূমি এলাকায়। প্রকৃতির এক অদ্ভুত খেলায় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তুষারঝড়ের হাত ধরে বরফে ঢেকে গিয়েছিল সাহারা। ফের ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে হল। কিন্তু, নতুন প্রজন্মের কাছে এই ছবি একেবারেই অভিনব।
স্থানীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে আফ্রিকার উত্তর দিকে থেকে শীতল হাওয়া নীচের দিকে নেমে আসতে শুরু করেছে। যার জেরে ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। প্রায় ১৬ ইঞ্চি বরফে ঢেকে গিয়েছিল সাহারার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কোথাও কোথাও ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি তুষারপাত হয়েছে। গত রবিবার সকাল থেকে তুষারপাত শুরু হয়। দ্রুত হলদেটে বালি সাদা হয়ে যায়।
বাংলা সাহিত্যের চরিত্র সাহিত্যিক লালমোহন গাঙ্গুলি লিখেছিলেন ‘সাহারায় শিহরন’। সেই মরুভূমির ‘হাইলি সাসপিসিয়াস’ এই চিত্র দেখলে হয়তো লিখতেন ‘শীতল সাহারা’।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস