আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রামমন্দির নয়, অযোধ্যায় মসজিদই গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ বলে মন্তব্য করেছেন এআইএমআইএম প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে। ‘শ্রী রামের জন্মভূমি অযোধ্যাতে যদি কিছু গড়ে ওঠে, তবে সেটা হবে রাম মন্দিরই’ আরএসএস প্রধানের মন্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের পক্ষেই যাবে বলে প্রত্যয়ী ওয়েইসি। তার দাবি, শীর্ষ আদালত কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়, রায় দেবে সাক্ষ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে। সেক্ষেত্রে রায় তাদের পক্ষেই যাবে ও অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদই গড়ে উঠবে।
মুসলিম নেতা ওয়েসির এই মন্তব্যকে ঘিরে ফের ভারতে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল দীর্ঘদিনের বিতর্ক। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ওয়েইসি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমাদের মসজিদ যেখানে ছিল সেখানেই গড়ে উঠবে। আমার বিশ্বাস বলছে, সুপ্রিম কোর্ট আমাদের পক্ষেই রায় দেবে। কারণ, সব প্রমাণ আমাদের দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করছে। আর সুপ্রিম কোর্ট প্রমাণের উপরই নিজেদের মতামত জানাবে। কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়।’
মুসলিম সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ওয়েইসি জানিয়েছেন, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদ গড়ে তোলার দাবি থেকে প্রাণ থাকতে একদিনের জন্যও কোনও সাচ্চা মুসলিম সরে আসবেন না। তার অভিযোগ, শরিয়ত আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কেউ কেউ দেশের মুসলিমদের তাদের দাবি থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও তাতে লাভ হবে না।
দেশটির রাজধানীতে এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, কীভাবে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের মতো একটি নামী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এত বড় দুর্নীতি হল? কেন প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রনালয়ের অফিসাররা কিছুই টের পেলেন না? নীরব মোদি ও মেহুল চোখসির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।
হিন্দু সংগঠনগুলির আবার দাবি, শ্রী রামের জন্মভূমি অযোধ্যাতে যদি কিছু গড়ে ওঠে, তবে সেটা হবে রাম মন্দিরই। সম্প্রতি কর্ণাটকের উডুপিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘ধর্ম সংসদ’-এ যোগ দিতে এসে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, অযোধ্যাতেই হবে রাম মন্দির। যা হবে গত ২৫ বছর ধরে চলে আসা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের পাথর দিয়েই। সেদিন আর দূরে নেই, যেদিন মন্দিরের মাথায় গেরুয়া পতাকা উড়বে। রাম মন্দির ছাড়া আর কিছুই হতে দেব না।’
আপাতত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বলে সব পক্ষই এখন রায়ের দিকে তাকিয়ে। তবে, আসন্ন লোকসভা ভোটেও যে অযোধ্যা একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে, সে কথা একবাক্যে মানছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এমটিনিউজ/এসএস