আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে ছুটতে থাকা হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার প্রশ্নে ক্রোয়েশিয়া এবং হাঙ্গেরি রীতিমত বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী যরান মিলোনোভিচ বলেছেন, শরণার্থীদের তারা হাঙ্গেরির দিকে পাঠানো অব্যাহত রাখবেন এবং তাদের গ্রহণে হাঙ্গেরিকে বাধ্য করবেন।
কিন্তু হাঙ্গেরি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ক্রোয়েশিয়া আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করছে, কারণ তারা এসব শরণার্থীদের নাম নিবন্ধন না করে হাঙ্গেরির দিকে ঠেলে দিচ্ছে
সিরিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে আসা হাজার হাজার শরণার্থর স্রোত সামলাতে হাঙ্গেরি ইতিমধ্যেই তাদের সীমান্ত বরাবর জরুরি অবস্থা কায়েম করেছে, সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে।
সরকারের একজন মুখপাত্র বলছেন, কাঁটাতারের বেড়া তৈরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিবাসীদের সীমান্ত পেরোতে দেয়া হবে।
শরণার্থীদের মধ্যে এ কথা ছড়িয়ে পড়েছে যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভেতরে ঢোকার পথ হয়তো শিগগীরই বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাঙ্গেরিতে ঢুকতে চাইছে। এ কারণে শরণার্থীদের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে।
অভিবাসীরা হাঙ্গেরিতে ঢুকছে প্রধানত ক্রোয়াশিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্ত দিয়ে, তাই হাঙ্গেরীর অভিযোগ ক্রোয়াশিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সীমান্ত রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ক্রোয়াশিয়ার সরকারি টুইটার একাউন্ট থেকে জানানো হচ্ছে, আজই দুপুরের আগ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭৩৭ জন অভিবাসী ক্রোযাশিয়াতে ঢুকেছে।
কিন্তু ক্রোয়াশিয়া বলছে, তারা এই অভিবাসীদের হাঙ্গেরির পথে যেতে দেবে। বিভিন্ন জায়গায় শত শত অভিবাসী বাসের জন্য অপেক্ষা করছে।
অনেক জায়গায় কোন জরুরি টয়লেট সুবিধা নেই। অনেকেই তীব্র গরম এবং পানির অভাবজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এসব জায়গায় ত্রাণকর্মীরা অভিবাসীদের খাদ্য ও অন্যান্য সাহায্য দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস