বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৪২:২৬

বিশ্বভারতীতে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন মে মাসে

বিশ্বভারতীতে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন মে মাসে

রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বাংলাদেশ ভবন’ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। আগামী মে মাসে ভবনটি উদ্বোধন করা হতে পারে।

বুধবার শান্তিনিকেতনে এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সবুজকলি সেন ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

বাংলাদেশ সরকার তাদের কাজগুলো শেষ করলেই ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ‘মে মাসের শেষ সপ্তাহে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দিতে পারেন। আমরা চাইছি, ওই সময়ে বাংলাদেশ ভবনেরও উদ্বোধন হোক। আমাদের ইচ্ছা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যৌথভাবে এ ভবনের উদ্বোধন করুন।’

এ বিষয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজাম্মান নূর বলেন, বাংলাদেশ ভবনের পরিচালনার দায়িত্বভার মে মাসের মধ্যে হাতে তুলে দেওয়া হবে। এছাড়া শান্তিনিকেতনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক হিসাবে একটি শহীদ মিনার তৈরির আবেদন করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের মতো শান্তিনিকেতনেও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ভবন’ পরিদর্শনে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময় শান্তিনিকেতন আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় যাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অন্যরা— সমকাল
বুধবার শান্তিনিকেতনে বৈঠকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজাম্মান নূর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশিষ কুমার সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফাইজুল লাতিফ চৌধুরী, নাসিরুদ্দীন ইউসুফ, এহেসান খান প্রমুখ। বিশ্বভারতীর পক্ষে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সৌগত চট্টপাধ্যায়, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ভবনের হস্তান্তর, পরিচালন ব্যবস্থা, রক্ষাণাবেক্ষণ , অবকাঠামোগত পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিনিকেতন সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ভবন ক্যাম্পাসে বাংলাভাষা আন্দোলনের স্মারক হিসাবে বাংলাদেশের অনুকরণে একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ ভবন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ভবনের অবকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন করা হবে, এর মধ্যে সব থেকে গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে লিফটের অবস্থানগত পরিবর্তন। এছাড়াও ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি ‘করপাস ফান্ডের’ দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে