আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ম্যাকআর্থার হাই স্কুল আমেরিকার একটি নামকরা স্কুল। কিন্তু সেখানেই অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার পর সেই ক্ষুদে বিজ্ঞানী তার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ তার শিক্ষার ভার নেয়ার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা তার মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও তাদের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে। কিন্তু, ওই স্কুলে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তার পরিবারের আর কোন আগ্রহ নেই।
এখানে ১৪ বছর বয়সী ক্ষুদে বিজ্ঞানী মার্কিন আহমেদ মোহাম্মদের কথা বলা হচ্ছে। যিনি এখন সারা বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। তাকে নিয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ সবারই আগ্রহ। হিলারি ক্লিনটন, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, নাসা, এমআইটিসহ সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার সামনে এখন অবারিত বিশ্ব।
আহমেদের পিতা মোহাম্মদ আল হাসান মোহাম্মদ জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যাকআর্থারে আহমেদের ফিরে যাওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নেই। সে স্কুল পরিবর্তন করবে এবং পরবর্তীতে কোন স্কুলে সে ভর্তি হবে, পরিবার সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
ম্যাকআর্থার স্কুলের এক মুখপাত্র বলেন, আহমেদকে অবশ্যই স্কুলে স্বাগত জানানো হবে। তার মানসম্মত শিক্ষাদান অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু, ম্যাকআর্থার স্কুলে পড়তে একেবারেই আগ্রহী নয় সে।
আহমেদের জন্য নতুন স্কুল খোঁজা হচ্ছে। ১৪ বছর বয়সী আহমেদ টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আর্ভিং শহরের ম্যাকআর্থার হাইস্কুলের নবম গ্রেডের ছাত্র। বাড়িতে আহমেদের তৈরি করা ঘড়িটিকে বোমা ভেবে স্কুল শিক্ষকরা যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা নিয়ে সারা বিশ্বে চলছে নিন্দার ঝড়। কিন্তু, সেই একটি ঘটনা আহমেদের জীবনের গতিপথই পাল্টে দিয়েছে।
এ বয়সেই অভাবনীয় সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে তার সামনে। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সবাই আহমেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসে, ফেসবুক কার্যালয়ে। এমআইটিও আহমেদের মতো উৎসুক শিক্ষার্থী চায়। সূত্র: এবিসি নিউজ, হাফিংটন পোস্ট
২০ সেপ্টম্বের ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস