আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘটনাটি ঘটেছে আলীগড়ে। একটি পার্টি ভেন্যুতে বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই পরিবারের পাঁচ শতাধিক অতিথি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মহাধুমধামে চলছিল সবকিছু। এ সময় বরের ভাবি খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার দেবরকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।
এমনকি কনের পরিবারের সদস্যদের সামনেই বরকে চুমু দিয়ে বসেন। বরকে ফ্লোরে টেনে নিয়ে নাচতে বাধ্য করেন তিনি। বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তারা নাচানাচিও করতে থাকেন। কিন্তু বিষয়টি একেবারে পছন্দ হয়নি কনের। এই দেখে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তিনি। কনের পরিবারও একই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা শুধু বরযাত্রীদের মারধরই করেনি, বরকেও আটক করে রাখেন।
সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল বিয়ের বর-কনের। এরপর প্রণয় থেকে পরিণয়। কিন্তু সেই পরিণয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তটি সুখকর হলো না বরের ভাবির কারণে! বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে ও তার পরিবারের সামনে দেবরকে চুমু খাওয়ায়ই যত গণ্ডগোল।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আলীগড়ের মেয়র শকুন্তলা ভারতী। তিনি বলেন, ‘বরকে কনে পক্ষের লোকজন ঘিরে রেখেছিল। মনে হচ্ছিল তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। বিষয়টি আমি মীমাংসা করে দিই। কিন্তু এটি খুব দুঃখের বিষয় যে, বর পক্ষকে কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হয়।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস