শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮, ১০:৪৪:৫০

ভাইরাল সেই শিক্ষকের বদলি স্থগিত, একজন শিক্ষক কতটা জনপ্রিয় হতে পারেন…

ভাইরাল সেই শিক্ষকের বদলি স্থগিত, একজন শিক্ষক কতটা জনপ্রিয় হতে পারেন…

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  একজন শিক্ষক কতটা জনপ্রিয় হতে পারেন- তার নমুনা দেখা গেল ভারতের একটি স্কুলে। তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন ২৮ বছর বয়সী জি ভগবান। সম্প্রতি তার বদলির আদেশ আসে। কিন্তু প্রাণপ্রিয় শিক্ষককে কিছুতেই ছাড়তে চায় না স্কুলের শিক্ষার্থীরা। 

এক পর্যায়ে তারা ওই শিক্ষককে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি ওই শিক্ষকও।
এমন আবেগঘন দৃশ্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর শিক্ষক জি ভগবানের বদলির আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শুধু শিক্ষার্থীদের কাছেই না, অভিভাকদের কাছেও সমান জনপ্রিয় শিক্ষক জি ভগবান। ক্লাসের ভেতরে ও বাইরে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে জি ভগবানের সীমাহীন অবদান রয়েছে।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি আমাদেরকে সব বিষয়ে সাহায্য করেন। আমরা কিছুতেই তার বদলি চাই না। তিনি আমাদের কাছে বড় ভাইয়ের মতো।’

জি ভগবান এ স্কুলটি দিয়েই তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেছিলেন। ২০১৪ সালে স্কুলটিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু স্কুলটিতে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যা বেশি হওয়াতে তাকে অন্য স্কুলে বদলি করার আদেশ আসে।

শিক্ষার্থীদের এমন ভালোবাসা সম্পর্কে ভগবান বলেন, ‘আমি পড়াশোনার বাইরেও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। আমি ওদের গল্প বলতাম, ওদের পারিবারিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতাম, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ওদের সঙ্গে আলোচনা করতাম, প্রোজেক্টরে বিভিন্ন জিনিস দেখাতাম… এইভাবেই আমি ওদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ওদের কাছে আমি একজন শিক্ষকের চেয়েও বেশি, একজন বন্ধু এবং বড় ভাই।’

ভগবান বলেন, ‘ওরা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। আমিও নিজেকে সামলাতে পারলাম না।’

শিক্ষার্থীদের এমন আবেগ দেখে ভগবানের বদলির আদেশ স্থগিত করতে শিক্ষা অধিদফতরকে অনুরোধ করেন স্কুলের প্রিন্সিপাল এ অরবিন্দ। আবেদনে সাড়া দিয়ে কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ভগবানের বদলির আদেশ স্থগিত করেছে।

প্রিন্সিপাল এ অরবিন্দ বলেন, ‘আমরা শিক্ষা দফতরের কাছে অনুরোধ করেছি তাকে যেন বদলি না করা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা শিক্ষক তিনি। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতির জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন এবং বিভিন্ন স্পেশাল ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলেন। এমন কী সে ছাত্রদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করে এবং সব মিলিয়ে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে