শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮, ০৩:০২:১৮

বিরোধীদলগুলোর জন্য শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জে ইমরান খান

বিরোধীদলগুলোর জন্য শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জে ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই জরিপে এগিয়ে ছিলেন ইমরান খান। নানা জল্পনা কল্পনা ও ভোটের লড়াই শেষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বটি এখন ইমরান খানের কাঁধে। তার এই প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। বিরোধীদলগুলোর জন্য শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জে ইমরান খান।

ইমারন খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কোনো কোনো বিরোধী দল তাকে শুভেচ্ছা সাধুবাদ জানিয়েছে। আবার সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে কয়েকটি বিরোধী দল।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কাছে পরাজয় স্বীকার করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (পিএমএল-এন)। শুরুতে সমালোচনার ঝড় তুললেও এখন সাধুবাদ জানাচ্ছে তারা।

প্রধান বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দলটি। পিএমএল-এন প্রাথমিকভাবে ভোটের ফল অস্বীকার করলেও শুক্রবার এর নেতারা পিটিআই নেতা ইমরান খানকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন।

তবে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল ভোটে কারচুপির অভিযোগও এনেছে। ইসলামাবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের এক নেতা বলেন, তারা নতুন করে নির্বাচনের জন্য বিক্ষোভ করবেন।

বিরোধী দলগুলোর ওই বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন-এর নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।এর আগে তারা বলেছিল যে, নির্বাচনে জয়ী না হলে তারা পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে যেতেও প্রস্তুত রয়েছে। তবে নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, তারা পার্লামেন্ট বর্জন করবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে শেহবাজের সঙ্গেই ছিলেন এমএমএ পার্টির নেতা মাওলানা ফাজালুর রেহমান। এক বিবৃতিতে ফাজালুর রেহমান বলেন, নতুন করে নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলনে যাব। এ নিয়ে বিক্ষোভ হবে।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিরোধী ১০থেকে ১২টি দলের নেতাকর্মীরা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন। নির্বাচনে মূলত ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা দেখা গেছে।

নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইমরানের দল। জাতীয় পরিষদের ২৭২টি আসনে তারা ১১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। অপরদিকে, নওয়াজের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৪টি আসন। নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তারা পেয়েছে ৪৩টি আসন। তবে শুক্রবার পিপিপি দলের কেউ বিরোধী দলগুলোর বৈঠকে অংশ নেয়নি।

নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১৩৭টি আসনে জয়ী হওয়া প্রয়োজন ছিল ইমরানের দলের। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ায় তার দলকে জোট সরকার গঠন করতে হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে