রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০৪:৪৬:১৬

'স্যারের ঘরে ঘুমোতে যেতে বাধ্য করত আন্টি'

'স্যারের ঘরে ঘুমোতে যেতে বাধ্য করত আন্টি'

বিভিন্ন হোমের ভিতরে মেয়েদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয় তা বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে যা সমাজের কালো ছবিকে নগ্ন করে দেখিয়ে দিয়েছে৷ ফের একবার এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে এল৷ মুজফফরপুরের একটি হোমে এক নির্যাতিতা মুখ খোলার পর যে ঘটনার কথা জানা গেল তা শুনে শিউরে উঠবে যে কেউ৷

জানা গিয়েছে, খাবারের মধ্যে নেশার ওষুধ মিশিয়ে তাদের নগ্ন হয়ে ঘুমোতে বাধ্য করা হত৷ কেউ বিরোধিতা করলে তাকে মারধোর করা হত৷ শনিবারে একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই জানা যায় মোট ৩৪জনকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে৷

এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ১০বছরের এক নাবালিকা জানায়, তার খাবারে নেশার ওষুদ মিশিয়ে দেওয়া হত৷ সেই খাবার খেয়ে তার মাথা ঘুরত৷ স্যারের ঘরে ঘুমোতে যেতে বাধ্য করত আন্টি, হোমের আন্টি তাকে ব্রজেশ স্যারের ঘরে ঘুমনোর জন্য পাঠাতো৷ সকালে উঠে সে দেখতে তার পোশাক তার শরীরে থাকত না৷ আবার অন্য এক নির্যাতিতা জানায়, পোকা মারার ওষুধ বলে তাকে জোর করে একটি ওষুধ খেতে বলা হত, যা খেয়েই তারা ঘুমিয়ে পড়ত৷ সকালে উঠে তার সারা শরীরে খুবই ব্যথা হত৷

অনাথ, গৃহহীন মেয়েদের এই হোমে পাঠানো হত৷ এই হোমটি সেবা সংকল্প এবং সমিতি নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাত, যার প্রধান এই ব্রজেশ কুমার ঠাকুর৷ পুলিশের অনুমান, গত পাঁচ বছরে প্রায় ৪৭০জন মেয়েকে এই হোমে নিয়ে আসা হয়৷ প্রতিবেশীরা মেয়েদের চিৎকারের শব্দ কখনও কখনও শুনতে পেলেও অভিযোগ জানানোর সাহস করেনি৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে