আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কবরে সমাধিস্থ করা এক নারীর মৃতদেহকে জড়িয়ে ধরা আরেক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে ইসলাম গাজী (৪০) নামে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার মাঝেরহাট পীরপুকুর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, কবর থেকে দেহ সরাতে গিয়ে মারা গেছেন তিনি।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কবরস্থানে এক ব্যক্তির জামাকাপড় ও জুতো পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা মনে করেছিলেন কেউ কবর থেকে মৃহদেহ পাঁচার করছেন। তাই তারা দলবল নিয়ে সেখানে পাচারকারীকে ধরতে যান। কিন্তু কবরের ভেতর ইসলাম গাজীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
কলকাতার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই মুসলমানদের কবরস্থান থেকে মৃতদেহ পাচার হচ্ছে। এলাকায় এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ইসলাম গাজীকে গোরস্থানের আশেপাশে ঘুরতে দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তারা লোকজন নিয়ে গোরস্থানে ঢোকেন। এ সময় তারা দেখতে পান, ওই নারীর কবরের মাটি খোঁড়া রয়েছে।
পরে তারা পুরো কবর খুঁড়ে দেখেন ভেতরে ইসলাম গাজী ওই মৃতদেহকে জড়িয়ে ধরে আছেন। কিন্তু তিনিও মৃত। পরে বারুইপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে ইসলাম ওই কবরে ঢুকেছিলেন তা জানা যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন পীরপুকুর এলাকার জামিলা নামে এক নারী। তার কবরেই ইসলামকে পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা দাবি করছেন, কবর থেকে দেহ পাঁচার করতে গিয়ে মারা গেছেন ইসলাম গাজী। তারা মনে করছেন, কোনো অলৌকিক শক্তির বলে কবরেই মৃত্যু হয়েছে তার।
এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বারুইপুর থানা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মৃত জামিলা বিবির সঙ্গে ইসলাম গাজীর কোনো সম্পর্ক ছিল কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি কোনো দেহ পাঁচার চক্রের সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগ রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে ইসলামকে কেউ খুন করে কবরে ফেলে গেছে কী না তাও দেখা হচ্ছে।