আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সপ্তাহ দুয়েক আগেই তীব্র গরমে আক্রান্ত হয়েছিল গোটা বাংলাদেশ। কিন্তু জাপানের অবস্থা আরও ভয়াবহ। রেকর্ড গরম পড়েছে এবার। গত জুলাইয়ের ৩১ তারিখ পর্যন্ত গরমে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। সরকার জানিয়েছে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও অ্যাথলেটদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে এমনই ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। সরকারে বলছে, মানুষের মতামত নিয়েই এটা কার্যকর করা হবে। কারণ এই ধরণের সিদ্ধান্ত স্থানীয়দের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে।
২০২০ টোকিও অলিম্পিকের আসর বসবে জুলাই-আগস্টে। সেটাই জাপানের সব থেকে গরম ও আদ্রতার সময়। দেশটির সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে ইভেন্টের সময় এগিয়ে আনা। পাশাপাশি আরও সবুজ বাড়ানো শহর জুড়ে। অলিম্পিক অফিসিয়ালরা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে অনুরোধ করেছিল ডে-লাইট সেভিং টাইম ব্যবহার করতে। যাতে ইভেন্টগুলো কড়া রোদ ওঠার আগেই শেষ করা যায়। বিশেষ করে ম্যারাথনের মতো ইভেন্ট সকাল থাকতে থাকতেই শেষ করে ফেলা যায়।
এই বছর এই সময়ে জাপানের গরমের যা অবস্থা তাতে ২০২০ বিশ্বকাপের সময় ঘড়ির কাঁটা ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হবে। সেটা জুন থেকে আগস্টের মধ্যে। আগামী বছর এই সময় পরিবর্তনের ট্রায়াল হবে। সেটা সুষ্ঠভাবে হলে অলিম্পিকের বছরে কাজে লাগানো হবে। এর আগেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল জাপান। সেটা অবশ্য বহু আগে, বিশ্বযুদ্ধের পর।
কিন্তু সেই সময় কর্মীরা অভিযোগ করেছিল যে, এর জন্য তাদের বসের তাদের বেশি সময় খাটাচ্ছে। তার পর ১৯৫২ সালে সেই ডে-লাইট সেভিং তুলে নেওয়া হয়। এখন সেই জাপান জ্ঞান-বিজ্ঞান আর শিক্ষায় অনেক উন্নত। তাই এমন কিছু হবে না বলেই আশা করছে দেশটির সরকার।