মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০৪:৫২:৩৭

আমি আর গোপনে বাঁচতে চাই না : সালমান রুশদি

আমি আর গোপনে বাঁচতে চাই না : সালমান রুশদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হঠাৎ করেই চিরতরে বদলে গিয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির জীবন। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলে ছেদ পড়েছিল তার স্বাভাবিক জীবনধারায়। 

সারাক্ষণই তাকে চলতে-ফিরতে হয় নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টনীর মধ্যে। অনেক আগেই ইরান তার মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা তুলে নিয়েছে; কিন্তু রুশদির জীবনে আর স্বাভাবিকতা ফেরেনি। এই করে করে ৩০ বছর কেটে গেছে মৃত্যুদণ্ডের ছায়ায়।

সম্প্রতি প্যারিস সফরে এক সাক্ষাৎকারে রুশদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি আর গোপনে বাঁচতে চাই না।’ গত সেপ্টেম্বরে এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তখন আমার বয়স ছিল ৪১। এখন ৭১। সব কিছু এখন ভালো যাচ্ছে।’ 

দুঃখের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা (মৃত্যুদণ্ড) খুব পুরনো বিষয়। এখন বরং আতঙ্কিত হওয়ার মতো অনেক বিষয় আছে।’ সালমান রুশদিকে কেউ কেউ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর ভারতে সবচেয়ে শক্তিমান লেখক হিসেবে অভিহিত করেন।

‘স্যাটানিক ভার্সেস’ গ্রন্থে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করার কারণে লেখকের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন ইরানের ধর্মীয় নেতা খামেনি। ওই সময় মুসলিম দেশগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। 

এরপর ১৩ বছর তাকে ভিন্ন নামে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারায় চলাফেরা করতে হয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার বন্ধ করেন। এর তিন বছর পর তেহরান তার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে।

তবে গত সেপ্টেম্বরে রুশদি যখন এএফপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বসেন, তখনো তার প্যারিসের প্রকাশকের অফিসের গেটে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। আরো কয়েকজন সশস্ত্র প্রহরীকে দেখায় যায় অফিস চত্বরে। 

তবে এর আগে রুশদি পূর্ব প্যারিসে এক বইমেলায় বলেছিলেন, নিউ ইয়র্কে তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। সেখানে তিনি প্রায় দুই দশক ধরে বসবাস করছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে