আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার জের। পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তালিকায় নাম রয়েছে মিরওয়াইজ উমর ফারুক, আবদুল গনি ভাট, বিলাল লোন, হাসিম কুরেশি এবং সাবির শাহের।
সরকারের এই পদক্ষেপ আসলে ভারত-পাকিস্তানের ভেতর যুদ্ধের বাতাবরণের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন কাশ্মিরের হুরিয়ত নেতা আবদুল গনি ভাট। নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রবিবার পতিক্রিয়া দেন হুরিয়ত কনফারেন্সের এই নেতা।
তিনি বলেন, ''সরকারের দেওয়া সুরক্ষা আমার প্রয়োজন নেই। আমার সুরক্ষা করবে কাশ্মীরের মানুষরা। আমি মরতে ভয় পাই না। হুরিয়ত নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে এটা কোনও আলোচনার বিষয় নয়।
কিন্তু সব দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।''
বৃহস্পতিবার জঙ্গি হামলা। নিহত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান, ক্ষুব্ধ গোটা ভারত। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে অ্যাকশন। ভারত পাকিস্তান সীমান্তের জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে বিছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতা আবদুল গনি ভাটের মন্তব্য তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে একটা মহল।
পুলওয়ামা হামলার পরের দিন শুক্রবারই জম্মুতে পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি বলেন, ''জম্মু কাশ্মীরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যাদের পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হবে।'' তারপর রোববারই রাজ্য সরকারের তরফে তুলে নেওয়া হয় কাশ্মিরের পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা।
অন্যদিকে, আমেরিকা, রাশিয়া সহ বিশ্বের নানা দেশ এই হামলার পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের রাজনীতিতে বিরোধী শিবিরও কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে। তারপরই সীমান্তে কড়া হয়েছে নিরাপত্তা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব বিষয়। পাকিস্তানকে জবাব দিতে তৈরি ভারত। প্রয়োজনে দেশে জারি করা হবে জরুরি অবস্থা। আবদুল গনির মন্তব্যেও যুদ্ধের ইঙ্গিত।