আব্দুর রাজ্জাক : চীন দেশটিতে বসবাসরত মুসলিম ও খ্রিস্টানদের স্বাধীনতা খর্ব করছে বলে অব্যাহতভাবে অভিযোগ উঠছে। এতে আবারো দেশটির মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন মুসলিমদের সঙ্গে যে আচরণ করছে তা দেশটিতে ১৯৩০ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। রয়টার্স, ইয়ন
‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস প্রাক্টিস’ নামে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন মাইক পম্পেও। তার প্রতিবেদনে বিশেষত ইরান, দক্ষিণ সুদান, নিকারাগুয়া ও চীনের অবস্থাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও চীন একটি অধিকার রক্ষা সংশ্লিষ্ট সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত ছিলো বলে পম্পেও সংবাদ সম্মেলনে বলেন।
একই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন মার্কিন পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক ব্যুরোর প্রধান মাইকেল কোজাক। তিনি বলেন, ‘চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা ১৯৩০ সালের পর আর কখনো দেখিনি।’
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীন ৮ লক্ষাধিক উইঘুর ও কাজাখ মুসলিমকে বন্দি করে রেখেছে। তাদের ওপর যেমন নির্যাতন করা হচ্ছে তেমনি জাতিপরিচয় মুছে দেয়ারও চেষ্টা করছে। ইরানে অন্তত ২০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং আরো কয়েক হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। ইরানে অধিকারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের আটক ও হত্যার সঙ্গে যথাযথ প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা হয়নি বলে পম্পেও মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ সুদানে সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের যৌন নির্যাতন করছে এবং নিকারাগুয়াও দেশটির শান্তিপ্রিয় বিক্ষোভকারীদের ¯œাইপার দিয়ে গুলি করে হত্যা করছে এবং অন্যায়ভাবে আটক করে রাখছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।-আমাদেরসময়.কম