আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এরদোগানের জন্য সুখবর! তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন বোর্ড ইস্তাম্বুল শহরের আট জেলার ভোট পুনরায় গণনার ঘোষণা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের রাজনৈতিক দল একে পার্টি ওই শহরের সব জেলার ভোট পুনঃগণনার দাবি জানানোর পর দেশটির জাতীয় নির্বাচন বোর্ড এ ঘোষণা দেয়। একেপি জোট ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনঃগণনার দাবি জানায়।
ইস্তাম্বুলের নির্বাচনে এরদোগানের নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) সামান্য ব্যবধানে হেরে যায়। এই হার মেনে নিতে আপত্তি জানিয়ে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানায় এ কে পার্টি। পরে বুধবার দেশটির নির্বাচন বোর্ডের প্রধান সাদি গুভেন বলেছেন, ইস্তাম্বুলের আটটি জেলার ভোট আবারো গণনা করা হবে।
প্রাথমিক ফলে এ কে পার্টিকে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি। দলটি বলছে, নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে এ কে পার্টি অনৈতিক দাবি করেছে। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গুভেন বলেন, অবৈধ ভোট বাছাই করতেই পুনরায় গণনা করা হবে। তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলছে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের এ কে পার্টি স্থানীয় মেয়র নির্বাচনে দেশটির বৃহত্তম তিনটি শহর রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও ইজমিরে হেরে গেছে; যা দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ দাখিলের জন্য এ কে পার্টিকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল নির্বাচন বোর্ড; যা শেষ হয় বুধবার।
ভোট পুনঃগণনার সিদ্ধান্তকে সিএইচপির প্রার্থী একরাম ইমামোগলু ইস্তাম্বুলের জনগণের অপমান বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার চাই। জনগণ আমাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে। বিশ্ব আমাদের দেখছে। বিশ্ব এই শহরটির নির্বাচন দেখেছে। তিনি অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে দেশের সম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত না করার আহ্বান জানান।
অন্য দিকে এ কে পার্টির উপপরিচালক আলি ইহসান ইয়ভুজ বলেন, তার দল অবৈধ কিছু করছে না। ভোটের ব্যবধান ২০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি পুনঃগণনায় যে ফল আসবে তা সবাই মেনে নেবে।
আনাদোলুর প্রকাশিত বেসরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশটির বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলে মেয়র নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) কাছে একেবারে সামান্য ব্যবধানে হেরে গেছে এ কে পার্টি। শহরটিতে সিএইচপির প্রার্থী একরাম ইমামোগলু ৪৮ দশমিক আট শতাংশ ভোট পায়। আর এ কে পার্টির প্রার্থী বিনালি ইলদিরিম পান ৪৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ। ভোটের ব্যবধান ২৫ হাজার।
সূত্র : আলজাজিরা