আন্তর্জতিক ডেস্ক : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এর জেরে ভারতের উত্তরপ্রদেশে পরিস্থিতি অ'গ্নি'গর্ভ হয়ে রয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে বি'ক্ষো'ভকারীদের ওপর পুলিশের গু'লি চালানোর একটি ভি'ডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
মোটরবাইকের আ'গুন থি'তিয়ে এসেছে খানিকটা। তবে দা'উ দা'উ করে জ্ব'লছে দুটি গাড়ি। উ'ল্টো দিক থেকে তখনও ইটের টুকরো এসে পড়ছে রাস্তায়। সেফটি জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ে পরিস্থিতি সা'মাল দিচ্ছে পুলিশ। বি'ক্ষোভ'কারীদের হ'ঠাতে ফা'টানো হচ্ছে কাঁ'দানে গ্যাসের সেল। তার মধ্যেই বন্দুকের 'সেফটি ল্যাচ' খুলে সামনের দিকে ছুটে গেলেন এক অফিসার। পেছনে থাকা পুলিশদের মধ্যে থেকে তখন উড়ে আসছে, 'মে'রে ফেল সবক'টাকে।' সে কথা কানে যেতেই ট্রি'গারে চাপ দিলেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বি'ক্ষোভে উ'ত্তাল উত্তরপ্রদেশ থেকে এবার পুলিশের এমনই ভি'ডিও সামনে এলো। শনিবার কানপুরে সেটি তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভি'ডিওটি। তাতে বি'ক্ষোভ থামাতে যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে গত তিন ধরে পরিস্থিতি অ'গ্নিগ'র্ভ গোটা উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের গু'লিতে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন প্রা'ণ হা'রিয়েছেন সেখানে, যার মধ্যে রয়েছে ৮ বছরের শিশুও। পুলিশের গু'লিতেই ওই ১৬ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বি'ক্ষো'ভকারীরা। যদিও তা অস্বীকার করেছে যোগীর রাজ্যের পুলিশ। বি'ক্ষোভ'কারীরাই বন্দু'ক হাতে মি'ছিলে নেমেছিল বলে অভিযোগ তাদের।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ডিজি ও পি সিংহ সংবাদমাধ্যমে বলেন, সবক'টি মৃ'ত্যুই গো'লাগু'লির মধ্যে পড়ে হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের গু'লিতে কেউ মা'রা গেলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নিতাম। উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভের এলাকা থেকে ৪০৫টি কার্তুজের খোল মিলেছে বলে দাবি করেন আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রবীণ কুমার। সূত্র : আনন্দবাজার