মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৬:৫০:৩২

মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত ছাড়তে হল জার্মান ছাত্রকে!

মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত ছাড়তে হল জার্মান ছাত্রকে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সপ্তাহ খানেক আগেই সিএএ এবং এনআরসি-র বি'রু'দ্ধে মাদ্রাজ আইআইটি ক্যাম্পাসে সরব হয়েছিলেন। তবে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সেই ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ পেলেন জার্মান ছাত্র জেকব লিন্ডেলথাল। 

শুধু তাই নয়, জেকবকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ারও মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে চেন্নাইয়ের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। অ'ভিযো'গ, সংশো'ধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ( এনআরসি ) বি'রু'দ্ধে বিক্ষো'ভ দেখানোর জেরেই সরকারের কো'পের মুখে পড়েছেন তিনি। 

যদিও এ বিষয়ে এফআরআরও-র দাবি, ভিসা আইন ল'ঙ্ঘ'ন করার জন্যই তাকে দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। জেকবের সমর্থনে মুখ খুলেছেন মাদ্রাজ আইআইটির সহপাঠীরা। প্র'তিবা'দ জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।

এক বছরের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অঙ্গ হিসাবে ভারতে এসেছিলেন জেকব। মাদ্রাজ আইআইটির পদার্থবিদ্যার স্নাতকোত্তরে ওই ছাত্রটি গত ১৬ ডিসেম্বর মাদ্রাজ আইআইটি ক্যাম্পাসের তার সহপাঠীদের সঙ্গে সিএএ এবং এনআরসি বিরো'ধী কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি ব'র্ব'রতার বি'রু'দ্ধেও চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করেন তারা। ওই বিক্ষো'ভে শামিল ২৪ বছরের জেকবের হাতে দেখা যায় নাত্‍সি জার্মানির সঙ্গে তুলনা টানা প্ল্যাকার্ড '১৯৩৩-১৯৪৫ উই হ্যাভ বিন দেয়ার'।

গত সপ্তাহের ওই বিক্ষো'ভের পর সোমবার তাকে ডেকে পাঠান অভিবাসন দফতরের কর্মকর্তারা। জেকবের অভিযোগ, দফতরের তিন জন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতে তার রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। 

তার কথায়, ''সব কিছুই বেশ খোলামেলা আলাপচারিতার মতো চলছিল। আমরা প্রতি'বাদের সংস্কৃতি নিয়েও বেশ আলোচনা করছিলাম। এরপর ওরা জানতে চাইলেন, সিএএ এবং এনআরসি বিরো'ধী বিক্ষো'ভে কেন শামিল হয়েছি? আলাপচারিতার শেষে ওরা বললেন, আমি ছাত্র ভিসা আইন ভে'ঙে'ছি। হয়তো অবিলম্বে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। এ নিয়ে লিখিত চিঠি চাইলে আমার পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন ওরা।''

জেকবের অভিযোগ, এ বিষয়ে একটি লিখিত চিঠির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পাননি তিনি। এরপর মাদ্রাজ আইআইটিতে ফিরে সঙ্গে সঙ্গেই ভারত ছাড়েন জেকব।

ভারত ছাড়ার আগে চেন্নাই বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে জেকবের আরও দাবি, ''এক সময় ওই অফিসারেরা জানান, কোনও কিছু না জেনেই এ ধরনের বিক্ষো'ভে আমার থাকা উচিত হয়নি। তা শুনে প্রতি'বাদ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, এটা আসলে মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন।''

গোটা ঘটনার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন মাদ্রাজ আইআইটি কর্তৃপক্ষ। জেকবের বিষয়টি তারা অবগত নন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্টানের ডিরেক্টর ভাস্কর রামামূর্তি। এমনকি, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান কে সেতুপতিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেন মন্তব্য করেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে