বুধবার, ০৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৫:০৬

৭৭ বার চেষ্টা করেও বন্ধুর স্ত্রীকে করতে পারলেন না সন্তানসম্ভবা: অতঃপর..

৭৭ বার চেষ্টা করেও বন্ধুর স্ত্রীকে করতে পারলেন না সন্তানসম্ভবা: অতঃপর..

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে হয়ে গেছে ছয় বছর তারপরেও দম্পতি ছিলেন নিঃসন্তান৷ কিন্তু দাম্পত্যজীবনে বেশিভাগ মানুষই সন্তান চায়৷ এই দম্পতিও তার থেকে অন্য কোনওরকম ভাবনার অধিকারী ছিলেন না৷ তাই তারা অভিনব এক পদক্ষেপ নেন নিজেদের জীবনে সন্তান আনার৷

এই দম্পতির নাম দারিয়াস মাকাম্বাকো ও প্রেশাস৷ স্বামীর বয়স ৫০ ও স্ত্রী-র বয়স ৪৫৷ এই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন যে স্বামীর প্রিয় বন্ধুকে দিয়ে এই কাজ করাবেন তিনি৷ সেই মত প্রিয়বন্ধু ও স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ছেড়ে দেন৷ 

মাকাম্বাকো নিজে পুলিশ কর্মকর্তা তার যে বন্ধুকে স্ত্রীকে গর্ভবতী করার জন্য তিনি নিয়োগ করেছিলেন তিনিও পুলিশ৷ তবে এ অবধি সব ঠিক চললেও এবার হয় আসল গ'ণ্ডগো'ল৷ মোট ৭৭ বার মিলিত হন এই যুগল৷ কিন্তু এরপরেও যে কাজের জন্য মিলন সেই আসল কাজটি হয়নি৷ মহিলা ওই পুরুষটির সঙ্গে ৭৭ বার মিলনের পরেও সন্তানসম্ভবা হতে পারেননি৷ এরপরে নাটকে আসে নতুন মোড়৷

নিজের স্ত্রীকে প্রেগন্যান্ট করার জন্য সেই ব্যক্তিকে মোকামবাকো তার সহকর্মী পুলিশ কর্মকর্তাকে ২০ লক্ষ তানজানিয়ান শিলিং দেন৷ এরজন্য সময় দিয়েছিলেন ১০ মাস৷ যেকানে সপ্তাহে তিন দিন করে এসে বন্ধুর স্ত্রীকে গর্ভবতী করার কাজ তিনি করতেন৷ ইভান্সের বাড়িতে নিজের দুটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও কীভাবে প্রেশাস গর্ভবতী হলেন না তা জানতে আদালতের দ্বারস্থ হন মাকামবাকো৷ 

চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান ইভান্সের সন্তান আসলে তার কাজিনের! তবে আদালতে ইভান্স জানান তিনি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য নন৷ তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবেন৷ তিনি যে সফল হবেন তার কথা দেননি৷ তানজানিয়ান দার এস সালাম কোর্টের এই মামলা এতটাই অভিনব যে আফ্রিকান সংবাদমাধ্যমের গন্ডি পার হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে