আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লি সংঘ'র্ষে হা'হাকা'রের মধ্যেই স'ম্প্রীতির এক উ'জ্জ্ব'ল ছবি উঠে এল পুরনো মুস্তাফাবাদের বাবুনগরে। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে শিব মন্দির রক্ষায় ত্রাতা হয়ে উঠলেন মুসলিমরাই।
আশেপাশের অঞ্চলে গোষ্ঠী সংঘ'র্ষ ভ'য়ঙ্ক'র রূ'প নিলেও এই অঞ্চলের বাসিন্দারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রুখে দিয়েছেন সংঘ'র্ষ। তুলে ধরেছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত দেশবন্ধু কলেজের পড়ুয়া মহম্মদ হাসিন এমনই এক জন। বছর চব্বিশের এই পড়ুয়ার কথায়, ‘‘প'রিস্থি'তি যেমনই হোক, আমরা চেয়েছিলাম সব সময়েই ঐক্যবদ্ধ থাকতে। যাতে হিং'স্র জনতার মো'কাবি'লা করা যায়।’’ যে কোনও মূল্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সৌভ্রাত্র অটুট রাখাই ছিল তাঁদের সংকল্প। সে জন্যে হিন্দুদের মন্দির বাঁ'চাতে ওই কয়েকটা দিন পালা করে নজরদারি করেছেন তাঁরা। হাসিনের কথায়, ‘‘দুই ধর্মের মানুষই ছোট ছোট দল তৈরি করে সতর্ক থেকেছে। প'রিস্থি'তি মো'কাবি'লায় হাতে তুলে নিয়েছিলাম লা'ঠি।’’
মন্দির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকেন কামরুদ্দিন। স্থানীয় চায়ের দোকানে খাবার সরবরাহ করে পেট চলে তাঁর। এ হেন কামরুদ্দিনের গলাতেও সম্প্রী'তির সুর। ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা একসঙ্গে রয়েছি। কখনও সংঘ'র্ষের কথা ভাবতেই পারিনি। এই ক'ঠিন সময়ে মানবতা রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদ জ্ব'লে গিয়েছে জানি, কিন্তু মন্দিরে কোনও আঁ'চ লাগতে দেব না।’’-আনন্দবাজার