আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার ভারতে তিন বছরের শিশুর শরীরে মিললো করোনা ভাইরাস। কেরালার সেই শিশুটি সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছে। শিশুটি আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিল, করোনা ভাইরাস ধ'রা পড়ার পরে তার চিকিত্সা শুরু হয়েছে, এখন তীর মা-বাবার সঙ্গে ফিরেছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। জম্মু-কাশ্মীরেও এক বৃদ্ধার শরীরেও করোনা ভাইরাস ধ'রা পড়েছে।
দেশে করোনা ভাইরাস আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা তিন জন, অন্তত ৯৭টি দেশ থেকে এই রোগে সংক্র'মণের খবর পাওয়া গেছে। গোটা দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ৩৩০০ জনের মৃ'ত্যুর খবর পাওয়া গেছে। করোনা এদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আ'ত'ঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারও শরীরে রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা কম থাকলে এই রোগ সং'ক্রমণের আশ'ঙ্কা রয়েছে। এই রোগ কী ভাবে দূরে রাখা যায় সেব্যাপারে বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠ দেওয়া হচ্ছে।
এই অবস্থায় শিশুদের সুস্থ রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই রোগ দূরে রাখতে শিশুদের এমন খাওয়াদাওয়া করাতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা তা'ত্ক্ষণিক ভাবে বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এজন্য ফলের মতো পুষ্টিকর ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জ'রুরি। করোনা ভাইরাসের কোনওরকম লক্ষণ দেখা দিলে তা অ'বহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। হাঁচি-কাশি থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে, তাই মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মাস্ক বারবার ঠিক করার জন্য অনেকেই মুখে হাত দিচ্ছেন। মাস্কে হাত না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ দেখলে যত শীঘ্র সম্ভব পরীক্ষা করিয়ে নিন। এই রোগের লক্ষণ কী সেব্যাপারে আপনার সন্তানকে জানিয়ে রাখুন। তাদের বলুন বারবার হাত ধুতে, সম্ভব হলে সাবান দিয়ে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ইউনিসেফের পরামর্শ হল, সন্তানকে এখন স্কুলে না পাঠানোই ভাল, কী করে ভাল করে হাত ধুতে হয় সন্তানকে সেটা শেখান।
মুখ ঢেকে হাঁচতে ও কাশতে শেখান। হাঁচি ও কাশির সময় রুমাল অথবা টিস্যু পেপার ব্যবহার করা অভ্যাস করান। হাঁচি ও কাশির পরে প্রতিবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলুন। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই আপনার সন্তান যাতে উপযুক্ত খাওয়াদাওয়া করে ও এই রোগ প্রতিরো'ধ ক্রমতা গড়ে তুলে পারে সে দিকে নজর দিন। সূত্র : দ্য ওয়াল