শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০, ১০:৪৮:২৭

করোনাভাইরাস থেকে বাঁ'চতে আতিরিক্ত গোমূত্র পান করে অসুস্থ বাবা রামদেব!

করোনাভাইরাস থেকে বাঁ'চতে আতিরিক্ত গোমূত্র পান করে অসুস্থ বাবা রামদেব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অতিরিক্ত গোমূত্র পানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভারতের বিখ্যাত যোগগুরু বাবা রামদেব। করোনাভাইরাসের সং'ক্র'মণ থেকে বাঁ'চতে তিনি আতিরিক্ত গোমূত্র পান করেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হচ্ছে। এই দাবির স্বপক্ষে রামদেবের পুরনো কিছু ছবি শেয়ার করছেন অনেকেই।

তবে ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বাবা রামদেবের অসুস্থ হওয়ার এই খবরের সত্যতা যাচাইয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভাই'রাল হওয়া ছবিটি আসলে ২০১১ সালের। কালো টাকার বিরুদ্ধে টানা অনশন করা রামদেব যেদিন তা প্রত্যাহার করেন, সেদিন হাসপাতালে ওই ছবি নেয়া হয়েছিল। একটানা অনশনে থাকার ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সুতরাং করোনাভাইরাস থেকে বাঁ'চতে রামদেবের গোমূত্র খাওয়ার দাবিটি সত্য নয়।

বর্তমানে বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রা'ণঘা'তী করোনাভাইরাস। এই মা'রণ-ভাইরাসের লা'গামহীন বিস্তার ঠেকাতে এবং প্রতিষে'ধক তৈরির জন্য রাত-দিন একাকার করে ফেলছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সম্প্রতি হিন্দু ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজৈনৈতিক দল হিন্দু মহাসভা করোনা ঠেকাতে গোমূত্র একমাত্র মহৌষধি বলে দাবি করেছে। এক বিজেপি নেত্রীও করোনা থেকে বাঁ'চতে গোমূত্র পান করার কথা বলেন।

রামদেবের অসুস্থ হওয়ার খবরের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করছেন অনেকে। যেখানে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রামদেব। ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে যোগগুরু অসুস্থ বলেই মনে হচ্ছে। তাকে ঘিরে রয়েছেন অনুগামীরাও।

ইংরেজিতে Baba Ramdev Weak Hospital লিখে গুগল-সার্চ করলে দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত আসল ছবিটির সন্ধান মেলে। ওই খবর অনুযায়ী, দেরাদুনে অনশন ভা'ঙার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রামদেবকে। ২০১১ সালের ১২ জুন ওই ছবিটি তোলা হয়।

এছাড়াও বাবা রামদেবের মুখপাত্র তিজারওয়ালা এসকের গত ৫ মার্চের একটি টুইট সাম্প্রতিক জল্পনায় জল ঢেলেছে। তিনি লিখেছেন, এসবই ভুয়া খবর। লজ্জারও বিষয়। সম্মাননীয় রামদেব সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। বিভিন্ন খবরের চ্যানেলকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রা'ণঘা'তী করোনাভাইরাস ধ'রা পড়ে। তখন থেকে বিশ্বের শতাধিক দেশে এই ভাইরাস সং'ক্রম'ণ ঘ'টিয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ জন এবং ভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে মা'রা গেছেন ৫ হাজার ৪৩৬ জন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে