আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার কারণে ফাঁ'কা হয়ে গেছে ইতালির রাস্তাঘাট। দেশটিতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৬ কোটিরও বেশি মানুষ। ক্লান্ত চিকিৎসক ও নার্সরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন আক্রা'ন্তদের বাঁচিয়ে রাখতে। শিশুদের সুর'ক্ষা নি'শ্চিতে তাদের থেকে আলাদা হয়ে থাকছে বাবা-মা। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন শতশত লা'শ দেখতে হচ্ছে ইতালির শহরগুলোকে।
ইউরোপের করোনা ঝুঁ'কিতে থাকা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ইতালির। ফলে ভাইরাসে মৃ'তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে দেশটিতে। সোমবার একদিনেই দেশটিতে মা'রা গেছেন ৩০০ জনের বেশি। এ নিয়ে করোনার শি'কার হলেন কমপক্ষে ২১০০ ইতালীয়। এ সংখ্যা চীনের বাইরে সবথেকে বেশি। সব থেকে ভ'য়াব'হ অবস্থা লোমবার্ডির। ইউরোপের করোনা ভাই'রাস বিস্তারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শহরটি। সেখানে হাসপাতালের ম'র্গে আর লা'শ রাখার জায়গা হচ্ছে না।
মৃ'তদের সৎকারেও ক'ড়াক'ড়ি করছে ইতালি সরকার। ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য শেষ প্রার্থনায় অল্প কিছু নিকটজনকে অনুমতি দেয়া হয় তাতে অংশগ্রহণে। পরিবারের সদস্যরাও তাতে মাস্ক পরে যোগ দেন। ইতালির আরেক গ্রাম জোঙ্গোতে স্থানীয় পাদ্রিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা দিনে একবার মৃত্যু ঘণ্টা বাজাবেন। কারণ করোনায় মৃত্যুর মিছিল বড় হতে থাকায় সারাদিনই ঘণ্টা বাজাতে হচ্ছিল।
ভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদেরকে শেষ বিদায় দিতে পারছেন না সজনরা। হাসপাতালের আইসোলেটেড কক্ষে বন্ধু ও পরিবার ছাড়াই মা'রা যাচ্ছেন ইতালীয়রা। স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে অনেকেই সজনের মৃ'ত্যুর খবর জানছেন। স্থানীয় পত্রিকা লেকো দি বারগামো প্রতিদিন মৃ'তদের তালিকা প্রকাশ করে একটি পাতা বের করতো। কিন্তু করোনা ভ'য়াব'হ রূপ ধারণ করার পর থেকে তাদের এ পাতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত শুক্রবার তারা ১০ পাতায় মৃ'তদের তালিকা প্রকাশ করে।
এদিকে সৎকারে যারা কাজ করছেন তারাও আ'ক্রা'ন্ত হতে শুরু করেছেন করোনাতে। এতদিন মনে করা হত মৃ'ত্যুর পর ম'রদেহ থেকে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে না। কিন্তু সামপ্রতিক এসব তথ্য এ ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে। ফলে সৎকার কার্যে নিয়োজিতদেরও কোয়ারেন্টিন করে রাখা হচ্ছে। ইতালির শহর কাস্টিগলিওন ডাড্ডার মেয়র জানান, ২১শে ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই ছোট শহরে ৪৭ জন মা'রা গেছেন। যেখানে পুরো ২০১৯ সালে মা'রা গেছেন ৫০ জন।