শনিবার, ০৬ জুন, ২০২০, ১০:৫৭:২৬

শুধুমাত্র ঢাকাতেই করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখের বেশি: ইকোনমিস্ট

শুধুমাত্র ঢাকাতেই করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখের বেশি: ইকোনমিস্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখের বেশি থাকতে পারে বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বরাত দিয়ে 'বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সং'ক্রমণ' শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে লন্ডনের এই সাময়িকী।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বাংলাদেশে সরকারিভাবে করোনায় আক্রা'ন্তের যে সংখ্যা জানানো হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি। কম পরীক্ষার অর্থই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র আরও বেশি খারাপ হতে পারে।

ইকোনমিস্ট বলছে, আইসিডিডিআরবির কর্মকর্তা জন ক্লেমেনসের অনুমান, বাংলাদেশের রাজধানীতে ইতিমধ্যে সাড়ে ৭ লাখের বেশি আক্রা'ন্তের সংখ্যা হতে পারে। গতকাল শুক্রবার (৫ জুন) পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রা'ন্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন। এদের প্রায় অর্ধেকই ঢাকার। এই দিন সকাল ৮টা অবধি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ জন নিহ'ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে মৃ'তের সংখ্যা বেড়েছে ৮১১।

এছাড়া করোনার বিস্তার ঠে'কাতে জা'রিকৃত লকডাউনের বিধি-নিষেধের বেশিরভাগই গত সপ্তাহ থেকে তুলে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারত। ১৭০ কোটি মানুষকে মুক্ত করে দেওয়ায় বিপর্য'স্ত অর্থনীতির এই অঞ্চলের এক পঞ্চমাংশ স্বস্তিতে ফিরবে। কিন্তু লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সং'ক্রমণ আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে বলে মনে করে ব্রিটিশ এই সাময়িকী।

ইকোনমিস্ট বলছে, তিন দেশে সরকারিভাবে প্রকাশিত সাড়ে তিন লাখের বেশি আক্রা'ন্ত এবং প্রায় ৯ লাখ মানুষের মৃ'ত্যু নিয়ে পরিসংখ্যানকে অপেক্ষাকৃত পরিমিত দেখাচ্ছে। তবে এখনো অনেক মানুষ আক্রা'ন্ত হলেও গণনার বাইরে রয়েছেন। লকডাউন প্রত্যাহারের আগে থেকেই তা নিয়ে ভ'য় ছিল। এখন সেই ভ'য় আরো বাড়ছে। বর্তমান ধারায় প্রতি দুই সপ্তাহে আক্রা'ন্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, এই অঞ্চলে করোনা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবে আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে সরকারি পরিসংখ্যানেও আক্রা'ন্ত ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে এবং মৃ'ত্যু ছাড়াতে পারে দেড় লাখ।-কালের কণ্ঠ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে