বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০, ১২:৪১:০৯

আর সংযম নয়, সীমান্তে সেনার হাতে পূর্ণ স্বাধীনতা

আর সংযম নয়, সীমান্তে সেনার হাতে পূর্ণ স্বাধীনতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমঝোতা যখন মানছে না বেজিং, তখন দিল্লির আর কোনও বা'ধ্যবা'ধকতা থাকছে না। এই বাক্যটাই আপাতত শোনা যাচ্ছে ভারতের প্রতির'ক্ষা মন্ত্রনালয়ের আনাচে কানাচে। কী মানার বা'ধ্যবা'ধকতা থাকছে না? কোন সমঝো'তার কথা বলা হচ্ছে? মন্ত্রনালয়ের তরফে স্পষ্ট ভাবে এই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর কোনও কর্তাই দিচ্ছেন না। 

দেশের সামরিক বাহিনীর কর্তারাও উ'দ্ধৃ'ত হতে নারাজ। কিন্তু প্রকৃত নিয়'ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) আপাতত বাহিনীকে 'ফ্রি হ্যান্ড' দেওয়া হচ্ছে— এ কথা স্বী'কার করে নিচ্ছেন প্রতির'ক্ষা মন্ত্রনালয়ের একাধিক সূত্র। 'ফ্রি হ্যান্ড' কথার অর্থ কী? অর্থ হল, বাহিনীর হাত-পা আর বাঁধা নয়, প্রয়োজন পড়লে আ'গ্নেয়া'স্ত্রের গ'র্জনও শোনানো যেতে পারে চীনকে। সীমান্তে কখন কী পরি'স্থিতি তৈরি হচ্ছে, তা দেখে সংশ্লিষ্ট কম্যা'ন্ডারই ঠিক করবেন প্র'ত্যাঘা'তের মাত্রা— অঘোষিত ভাবে এই রকম অনুমতিই দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

ভারত ও চীনের সীমান্তে অনেক দশক ধ'রে একটাও গু'লি চলেনি। দুই দেশের মধ্যে তেমনই সমঝো'তা রয়েছে। সীমান্তে যদি স'ঙ্ঘা'তের পরি'স্থিতি তৈরি হয়, তা হলে কী ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা হবে, সে সব বিশদে নি'র্ধা'রিত হয়েছে দ্বিপা'ক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমেই। কিন্তু তাতে কি কোনও লাভ হয়েছে? সীমা'ন্তে গু'লি না চলুক, ভারত-চীন সীমান্ত কি আদৌ শান্ত থেকেছে? প্রশ্ন তুলছেন সেনাকর্তারাই।

ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অরুণ রায়ের কথায়, ''অনেকে বলছেন, ৪৫ বছর ধ'রে ওখানে একটাও গু'লি চলেনি। কিন্তু তাতে কী লাভ হল? প্রা'ণহা'নি কি ঠেকানো গেল? এত বড় সং'ঘ'র্ষ যেখানে ঘ'টে যাচ্ছে, এতগুলো প্রাণ যেখানে একরাতে চলে যাচ্ছে, সেখানে গু'লি না চালানোর সমঝো'তার কী মূল্য রয়েছে!'' ঠিক এই কথাটাই বলছেন সেনায় কর্মরতরাও। 

সোমবার রাতে লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় যে ঘ'টনা ঘ'টে গিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বাহিনীর মধ্যে আ'ক্রো'শ বেশ তী'ব্র। cনা বাহিনী বার বার সীমা ল'ঙ্ঘ'ন করছে, আদর্শ আচরণবিধিও (এসওপি) অনেক ক্ষেত্রেই তারা মানছে না। তা হলে সমঝোতা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার দায় ভারতেরই বা থাকবে কেন? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সেনা কর্মকর্তারা। সে প্রশ্ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছে বাহিনীর সর্বোচ্চ মহলের মাধ্যমে, খবর দিল্লীর সাউথ ব্লক সূত্রের। এবং তার প্রেক্ষিতে সাউথ ব্লকও এলএসি নীতি নতুন করে বিবেচনা করছে বলে খবর।

নতুন করে বিবেচনা বলতে কী? ভারতের প্রতির'ক্ষা মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও একটা বা একাধিক সমঝোতা ভারত এখন থেকে আর মানবে না, এমন কোনও কথা ঘোষণা করা হবে না। কিন্তু বাহিনীকে আপাতত 'ফ্রি হ্যান্ড' দিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এলএসিতে মোতায়েন বাহিনীর কম্যা'ন্ডাররা যে রকম প্রয়োজন বুঝবেন, সে রকম ভাবেই পরি'স্থিতির মো'কাবিলা করবেন। কোনও নিষে'ধা'জ্ঞা তাদের উপরে আপাতত থাকছে না। পরি'স্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিয়ে প্র'ত্যাঘা'তের মাত্রা বাহিনীই স্থির করবে, দিল্লির মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হবে না।

সীমান্তে গু'লি না চলুক, ভারত-চীন সীমান্ত কি আদৌ শান্ত থেকেছে? প্রশ্ন তুলছেন সেনাকর্তারাই। ঘোষিত ভাবে না হলেও, এই 'ছাড়পত্র' কিন্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মন্ত্রনালয়ের দেওয়া এই 'ছাড়পত্র' বাহিনীর মনোবল লহমায় বাড়িয়ে দিতে সক্ষম বলে প্রতির'ক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। 

মেজর জেনারেল অরুণ রায়ের কথায়, ''সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আগ্নে'য়া'স্ত্র নিয়ে লড়াই করার। লা'ঠালা'ঠি করার বা কুস্তির আখড়ায় যাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। সুতরাং গোলমাল বা'ধলেও কুস্তি ছাড়া আর কিছু করা যাবে না, এমন যদি বলে দেওয়া হয়, তা হলে অবশ্যই বাহিনীর স'ক্ষমতাকে কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সব বিধিনিষে'ধ যদি আজ কেউ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে অবশ্যই তা বাহিনীর পক্ষে সুবিধাজনক। সেনা জানে, সেনাকে কোন পরি'স্থিতিতে কী করতে হবে।''

এলএসি নীতিতে এই পরিবর্তন কি এখনই জরুরি ছিল? বেজিং থেকে তো বার বার উত্তে'জনা প্রশমনের বার্তা আসছে। গলওয়ান উপত্যকার যে অঞ্চলে সংঘ'র্ষ হয়েছে সোমবার রাতে, সেখান থেকে চীনা বাহিনী ফিরে গিয়েছে বলে খবর। প্যাংগং তটের ফিঙ্গার-৪-এ এখনও বসে রয়েছে লালফৌজ। কিন্তু সীমান্তে আর উত্তে'জনা বাড়াতে চায় না চীন— এমন বার্তা ইতিমধ্যেই একাধিক বার প্রকাশ্যে দেওয়া হয়েছে বেজিঙের তরফ থেকে। এতে কি উত্তে'জনা প্রশ'মনের ইঙ্গিত নেই? এখনই গ'র্জ'ন শোনানোর কি প্রয়োজন রয়েছে?

প্রতির'ক্ষা বিশেষজ্ঞ তথা ভারতীয় সেনার আর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্তা কর্নেল সৌমিত্র রায় বলছেন, অবশ্যই গ'র্জ'ন শোনানোর প্রয়োজন রয়েছে। চীন একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে কর্নেল রায়ের দাবি। তার কথায়, ''হাঁস যখন জলের উপরে স্থির ভাসে, তখন তাকে দেখে খুব শান্ত মনে হয়। কিন্তু জলের নীচে ডুব দিয়ে যদি কেউ দেখেন, তা হলে দেখতে পাবেন, হাঁসটা মোটেই শান্ত নেই। তার পা দুটো অত্যন্ত চঞ্চল হয়ে ন'ড়াচ'ড়া করছে। চীন হল ঠিক ওই রকম। সীমান্তে উত্তে'জনা কমাতে চায় বলে এখন বার বার জানাচ্ছে চীন। কিন্তু চিনকে বিশ্বাস করার কোনও অবকাশ আর নেই।''

অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনাকর্তার মতে— ভারতীয় বাহিনী এই মুহূর্তে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে পারে বলে চীন আশ'ঙ্কা করছে, তাই বার বার প্রশ'মনের বার্তা দিচ্ছে, কিন্তু পরি'স্থিতি থিতিয়ে গেলেই চীন আবার সীমান্ত ল'ঙ্ঘ'ন করবে। ভারতপন্থী প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন একটা সম্প্রসারণবাদী রাষ্ট্র। সীমান্তে যে তারা কিছুতেই স্থিতিশীলতা বহাল থাকতে দেবে না, তা বছরের পর বছর ধ'রে তাদের আচরণে স্পষ্ট। 

মেজর জেনারেল অরুণ রায় এবং কর্নেল সৌমিত্র রায়, দু'জনেই বলছেন যে, সীমান্তটাকে স্পষ্ট ভাবে চি'হ্নিত করতে চীন কিছুতেই চায় না, কারণ তাতেই চীনের সুবিধা। মেজর জেনারেল অরুণ রায়ের কথায়, ''আমরা বহু বার সীমান্ত স্থায়ী ভাবে চি'হ্নিত করার কথা বলেছি। বার বার চীনকে বলেছি, কত দূর পর্যন্ত তোমরা নিজেদের এলাকা বলে মনে কর জানাও, তোমাদের ম্যাপ নিয়ে এস। কিন্তু চীন কিছুতেই কোনও ম্যাপ নিয়ে আসেনি।''

তাতে কী সুবিধা চীনের? কর্নেল সৌমিত্র রায়ের ব্যাখ্যা, ''সীমান্ত চিহ্নিত করা নেই বলে চীন বার বার সীমান্ত সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য বদলাতে পারে। বার বার সীমা ল'ঙ্ঘ'ন করে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে। সীমা ল'ঙ্ঘ'ন করে যত দূর এগিয়ে এল চীনা টহলদার বাহিনী, মাঝে-মধ্যে সেখানেই স্থায়ী ভাবে শিবিরও বানিয়ে ফেলে তারা। কিছুতেই পিছু হঠতে চায় না।''

এই অভিযোগ কিন্তু মি'থ্যা নয়। এই পরম্পরা বছরের পর বছর ধরে চলছে। কিন্তু বেজিং-এর এই প্র'ব'ণতা এবং ক্র'মশ এগিয়ে আসার চেষ্টাকে রু'খতে দিল্লি এখন ব'দ্ধপরিকর— বলছেন ভারতীয় প্রতির'ক্ষা বিশেষ'জ্ঞরা। ২০১৭ সালে ডোকলামে সেই ''স'ঙ্কল্পেরই প্রমাণ'' রেখেছিল ভারত, মত তাদের। সে বারের মতো চীন র'ণে ভ'ঙ্গ দেয়। কিন্তু তারপরে আবার সীমান্তে সম'স্যা শুরু হয়। 

কখনও উত্তরাখণ্ড, কখনও লাদাখ, কখনও সিকিম থেকে সীমা ল'ঙ্ঘনের অ'ভিযো'গ আসতে শুরু করে। বিভিন্ন এলাকায় দু'দেশের বাহিনীর মধ্যে হা'তাহা'তি, ধ'স্তাধ'স্তি, পাথর ছো'ড়াছু'ড়ির ঘ'টনাও ঘ'টতে থাকে। সেই সব স'ঙ্ঘা'তেরই র'ক্তক্ষ'য়ী রূপ এ বার দেখা গেল লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায়।

কর্নেল সৌমিত্র রায় বলছেন, ''এ কথা ঠিক যে, অনেক দশক পরে সীমান্তে এমন র'ক্তক্ষ'য়ী সং'ঘ'র্ষে জড়াল ভারত-চীন। কিন্তু ডোকলামের পর থেকে বছর তিনেক ধরে ছোটখাটো ল'ঙ্ঘ'নের আড়ালে চীন যে বড় পরিক'ল্পনা করছিল, তা-ও খুব স্পষ্ট হয়ে গেল। ছোটখাটো ঘ'টনা ঘ'টাতে ঘ'টাতে আচমকা এই ভাবে বড় কিছু ঘটানোই চীনের বরাবরের নীতি। চীন সীমান্তে যারা কাজ করেছেন কখনও না কখনও, সেই সব সেনাকর্তারা বলছেন, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বহাল থাকতে না দেওয়ার এই চীনা নীতি কিছুতেই সফল হতে পারত না, যদি সীমান্তে আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ না থাকত। 

সীমান্তে র'ক্তপা'ত ঘটতে না দেওয়ার জন্য ওই আদর্শ আচরণবিধি বা এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) নির্ধারিত হয়েছিল। দু'দেশের সমঝোতার ভিত্তিতেই তা নির্ধারিত হয়েছিল। তাই চীন জানে, যত বারই সীমা ল'ঙ্ঘ'ন হোক, ভারত গু'লি চালাবে না। অতএব বার বার সীমা ল'ঙ্ঘ'ন করতে করতে মাঝেমধ্যে কিছুটা এগিয়ে নেওয়া হবে নিজেদের এলাকা— এই নীতির রূপায়ণ মন দিয়ে করছিল চীন।

প্রতির'ক্ষা মন্ত্রনালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মতে, চীনকে বিশ্বাস করা ক'ঠি'ন। তাই গোটা এলএসি জুড়েই ক্র'ম'শ বাড়ানো হচ্ছে সৈন্য সমাবেশ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সমঝোতার কারণে ভারত যেমন গু'লি চালাতে পারছিল না, তেমনই চীনের উপরেও তো একই রকম বি'ধিনিষে'ধ ছিল। তা হলে ভারত কেন তার সুযোগ নিতে পারল না? চীন যে পদ্ধতিতে ভারতকে চা'পে ফেলছে, ভারতও তো সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে চীনকে পা'ল্টা চা'পে ফেলতে পারত। 

এর উত্তরে প্রতির'ক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন— চীনের মতো সম্প্রসারণবাদী রাষ্ট্র ভারত নয়। সীমান্তে ভারত শান্তিই চায়। তাই ভারত শুধুমাত্র নিজেদের নিয়'ন্ত্রণে থাকা এলাকাকে সুর'ক্ষিত রাখার উপরেই জোর দিয়ে এসেছে এত দিন। কখনও চিনা এলাকা কব্জা করার কথা ভাবেনি। এ বার কি তা হলে সে রকমও ভাববে দিল্লি? 

সেনাবাহিনীর সাবেক উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভয় কৃষ্ণ বলছেন, চীনকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য রক্ষ'ণা'ত্মক নীতি ছেড়ে এ বার এলএসিতে আক্র'মণা'ত্মক নীতিই নেওয়া উচিত ভারতের। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কৃষ্ণর কথায়, ''লাদাখ হোক বা উত্তরাখণ্ড, সিকিম হোক বা অরুণাচল, এমন অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে, যেখানে ভারতীয় বাহিনী যদি আ'গ্রা'সন দেখাতে শুরু করে, তা হলে কিন্তু চীনকে কাঁদতে হবে। সুতরাং গলওয়ান উপত্যকা বা ফিঙ্গার-৪ ছেড়ে চীনা বাহিনী যদি ফিরতে রাজি না হয়, তা হলে ওখানে আমাদের বাহিনী যেমন মুখো'মুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে, তেমনই থাক। তার পরে অন্যান্য এলাকায় ভারত আ'গ্রা'সন শুরু করুক, বেশ কিছু চীনা এলাকা কব্জা করুক। তার পরে দেখা যাবে, কে কোন এলাকা ছেড়ে পিছু হঠে।''

বাহিনীর প্রাক্তন উপ-প্রধানের দ্বারা প্রস্তাবিত এই নীতি দিল্লি অনুসরণ করতে চলেছে, এমন কোনও খবর নেই। বরং কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের আলোচনার পথ খোলা রাখা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একাধিক কর্তার মতে, চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন। তাই গোটা এলএসি জুড়েই ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে সৈন্য সমাবেশ। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সাম্প্রতিক সঙ্ঘাতটা শুরু হয়েছিল। 

জুনের প্রথম সপ্তাহে কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হয়, দু'দেশই বাহনী সরিয়ে নেবে স'ঙ্ঘা'তের এলাকাগুলো থেকে। তার পরেও দু'দেশের সামরিক কর্তারা পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। কিন্তু সে সবের মাঝেই সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যকায় র'ক্তক্ষ'য়ী সং'ঘ'র্ষ ঘ'টে গেল। চীনের অভিযোগ, ভারতই চীনা এলাকায় ঢুকে হা'মলা করেছে। কিন্তু নয়াদিল্লির কর্তারা বলছেন, হা'মলা চীনই করেছে এবং এই হা'মলা আচ'মকা তৈরি হওয়া কোনও পরি'স্থিতির ফসল নয়, বরং সুপ'রিক'ল্পিত। 

সুতরাং এখন চীন উত্তে'জনা প্রশমনের বার্তা দিলেও সামরিক প্রস্তুতি শিথিল করতে রাজি নয় দিল্লি। উত্তে'জনা প্রশমনের বার্তা দিয়েও সীমান্তের ও পারে চীন কী ভাবে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে, সে দিকেই বরং দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন দিল্লির কর্তারা। যে কোনও পরিস্থিতিতে 'যথোচিত জবাব' দিতে ভারত প্রস্তুত— বুধবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্তব্য করেছেন। 

অতএব র'ক্তক্ষ'য় এড়াতে এলএসিতে বাহিনীর উপর বি'ধিনিষে'ধর আরো'প করে রাখার নীতি যে আপাতত কার্যকরী নয়, দিল্লির নানা পদক্ষেপেই সে বার্তা স্পষ্ট। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভয় কৃষ্ণ যে নীতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, ততটা আ'ক্রম'ণা'ত্মক ভারত এখনই হবে কি না, স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে সীমান্তে উত্তে'জনা বাড়লে ভারতীয় বাহিনী যে চূড়ান্ত সং'য'ম দেখাবে না, তা বেশ পরিষ্কার। সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে