আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাদাখ সীমান্তে এখনও কার্যত যু'দ্ধপ'রিস্থিতি বিরাজ করছে। দু’পক্ষই বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। একে অপরের ওপর রাখছে কড়া নজর। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে চীনের শত শত নজ'রদারি ড্রোন। ভারতীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য কৌশলগত এসব ড্রোন উড়াচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ)।
কখনও কখনও এসব ড্রোন সীমান্ত পেরিয়ে পূর্ব-লাদাখের ভারতীয় অংশেও ঢুকে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার উপর শনা'ক্ত করা হয়েছে ড্রোন। তবে ড্রোন ন'জরদারিতে পিছিয়ে নেই ভারতও। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর সম্প্রতি নজরদা'রি শুরু করেছে।
এজন্য ইসরাইলে তৈরি বিশেষ ড্রোন ‘হেরন’ মোতায়েন করা হয়েছে ভারত। প্যানগং, গালওয়ান উপত্যকার পর দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও) সড়কের ওপর নজর দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে সড়কের কাজ আট'কে দেয়ার তৎপরতা শুরু করেছে।
এছাড়া ডিবিও সক বরাবর নিজেদের এলাকায় সেনাও বাড়িয়েছে। চীনের এ অপতৎরতা রুখতে তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার রাতে দারবুক-শাইয়োক-ডিবিও সড়কজুড়ে অনেক সেনাও মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি।
তবে লাদাখ সীমান্ত থেকে চীন সেনা কমাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয় সরকারে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাদাখের তিনটি অঞ্চলেই গত ৩ দিনে চীনা সেনার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। তবে তাদের নির্মাণ এবং আধা-স্থায়ী কাঠামোগুলো এখনও রয়েছে। সেখানে রয়েছে অল্প কিছু চীনা সেনাও।
গালওয়ান উপত্যকার পাশাপাশি গোগরা হট স্প্রিং এবং প্যানগং লেকের কাছে ফিঙ্গার এরিয়াতেও চীনা বাহিনীর সংখ্যা হ্রাসের খবর এসেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। খবর ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য হিন্দুর।
প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে ভারত-চীন সংঘা'ত। এখনও প'রিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় লাইন অফ অ্যাচুয়াল কন্ট্রোলজুড়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। চীন-ভারত চলমান উ'ত্তেজনার মধ্যেই লাদাখ সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে চীন। পাঠানো হয়েছে সামরিক সরঞ্জামও। বেইজিংয়ের এ সিদ্ধান্তকে শান্তিচুক্তির লঙ্ঘন বলে অভি'যোগ করেছে নয়াদিল্লি। এর সঙ্গে নজরদারি ড্রোনও ব্যবহার শুরু করেছে চীন।
গত মাসেই লাদাখ সীমান্তে এআর৫০০সি নামে হেলিকপ্টার আকৃতির বিশাল ড্রোন মোতায়েনের ঘোষণা দেয় চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। ড্রোনগুলো ৫ হাজার মিটার উঁচুতেও উড়তে পারে। ৫০০ কেজি পর্যন্ত রসদ নিয়ে ১৭০ কিলোমিটার গতিতে টানা ৫ ঘণ্টা আকাশে থাকতে পারে।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কর্পস মোতায়েন করেছে হেরন মিডিয়াম অলটিটিউড লং এনডুরেন্স ড্রোন। সেই ড্রিন থেকে সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছে। এ ড্রোন অন্তত ১০ কিলোমিটার উঁচুতে উড়তে পারে। টানা ২৪ ঘণ্টা চক্কর কাটতে পারে আকাশে। এছাড়া, সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে পোর্টেবল ড্রোন। একাধিক ‘স্পাইলাইট মিনি’ ড্রোন মজুদ রাখা হয়েছে।
যা দিয়ে সহজেই সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকায় শ'ত্রুদের অবস্থান দেখে নিতে পারবে। ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ ড্রোনগুলে তৈরি হয় ২০১৮-তে। যে কোনো আবহাওয়াতেই এ ড্রোন উড়ানো সম্ভব। ১০ হাজার মিটার থেকে ৩০ হাজার ফুট উঁচু পর্যন্ত উড়তে পারে এ ড্রোন, তুলে আনতে পারে রিয়েল টাইম ভিডিও ফুটেজ।