আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) রাজ্যসভায় জানিয়ে দিয়েছেন আগামী বছরের শুরুতেই দেখা মিলবে করোনা ভ্যাকসিনের। তিনি জানান, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। এদিকে স'ম্প্রতি আইসিএমআর (ICMR) ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন সং'ক্রান্ত একটি পেপারে জানানো হয়েছে সদ্যোজাত বাছুরের র'ক্ত কোভিড ভ্যাকসিনের অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কেবল কোভিড ভ্যাকসিনের (COVID Vaccine) ক্ষেত্রেই এই উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে তা নয়। বলা হয়েছে, বায়োলজিক্যাল গবেষণার ক্ষেত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সদ্যোজাত বাছুরের র'ক্ত। সাধারণত তা বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে বর্তমানে বহু ক্ষেত্রে কৃত্রিম প্রতিস্থা'পনও করা হয়। ফলে যথেষ্ট পরিমাণে এই র'ক্ত আমদানি করা সম্ভব হয়েছে বিদেশ থেকে। কোভিড ভ্যাকসিন প্র'স্তুতিতে এটিকে অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই উপাদান ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অত্য'ন্ত জ'রুরি।
এছাড়াও আফ্রিকার প্রাপ্তবয়স্ক সবুজ বাঁদরের কিডনি থেকে নেওয়া কোষও ব্যবহৃত হচ্ছে ভ্যাকসিন নির্মাণের জন্য। ওই বাঁদরের কিডনির CCL-81 কোষকে গবেষণাগারে বৃ'দ্ধি ঘ'টিয়ে তাকে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সামনে আনা হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে। ভাইরাস-সহ সেই কোষকে ৩৬ ঘণ্টা সংশ্লেষ করার পরে সেটিকে নি'ষ্ক্রিয় করা হয়।
দেশজু'ড়ে বাড়তে থাকা সং'ক্রমণের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে দেশবাসী। ভারতে যে তিনটি সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভিন্ন স্তরে রয়েছে সেগুলি হল জাইডাস ক্যাডিলা, ভারত বায়োটেক ও সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বছরের শুরু থেকে ভ্যাকসিন মিললেও তা সকলের কাছে পৌঁ'ছতে সময় লাগবে। এই মু'হূর্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই যে করোনার বিরু'দ্ধে সব'চেয়ে জ'রুরি প্র'তিরো'ধ, সেকথাও জানিয়ে দেন তিনি।-সংবাদ প্রতিদিন