বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৮:১১

তুরস্কের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি 'জনগণ আর আল্লাহ তুরস্কের জন্য যথেষ্ট'

তুরস্কের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি 'জনগণ আর আল্লাহ তুরস্কের জন্য যথেষ্ট'

সরওয়ার আলম : তুরস্ক নাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য দেশ। ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী কোনো সদস্য দেশে আ'ক্র'মণ হলে সেটা নাটোর অন্য সবার ওপরে আ'ক্র'মণ। এবং ন্যাটো সে দেশকে র'ক্ষায় তার অ'স্ত্রশ'স্ত্র সৈন্য-সামন্ত নিয়ে হাজির হবে। এখন তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্কের গত ১০ বছরের ঘ'টনা বিবরণী...

তুরস্ক: সিরিয়ার সরকার এবং কুর্দী স'ন্ত্রা'সী গ্রুপ আমার জমিনে আ'ক্র'মণ করছে। সীমান্তে তাদের মর্টার আর মিসা'ইলের আ'ক্র'মণে শত শত তুর্কি নিহ'ত হয়েছে। ন্যাটোর চু'ক্তি অনুযায়ী আমার ওপর আ'ক্র'মণ হলে সব ন্যাটো সদস্য একজোটে মো'কাবে'লা করবে। আসো মো'কাবে'লা করো।  

যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: সবার মো'কাবে'লা করার দরকার নাই। ওগুলো কোনো ব্যাপার না। কুর্দি স'ন্ত্রা'সীরা আমাদের বন্ধু। তাদের বি'রু'দ্ধে আমরা সৈন্য পাঠাবো না। তোমাকে কোনো হেল্পও করবো না। তুরস্ক: আমি প্রায় ৫০ বছর ধ'রে ন্যাটো সদস্য, আমার চেয়ে ওই ক্ষু'দ্র স'ন্ত্রা'সী গোষ্ঠীটি তোমাদের বন্ধু হয়ে গেল? তোমরা কিভাবে স'ন্ত্রা'সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো। তাও আবার তারা তোমাদেরই ন্যাটো সদস্য তুর্কীকে আ'ক্র'মণ করছে। 

যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: আচ্ছা আমরা ভেবে দেখি। তুরস্ক: ভেবে দেখার কী আছে। ওই গোষ্ঠীটিকে তোমরাও তো স'ন্ত্রা'সী হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছিলে। তোমাদের লিস্টেও তো তারা স'ন্ত্রা'সী। তারপরও কেন তোমরা তাদের সঙ্গে? যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: তারা আমাদের স্ট্রাটে'জিক পার্টনার? 

তুরস্ক: স'ন্ত্রা'সী গ্রুপ কিভাবে তোমাদের স্ট্র্যাটে'জিক পা'র্টনার হয়? তোমরা ভুল করছো। যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: আচ্ছা ঠিক আছে তুমি মুখ বন্ধ করে থাকো। আমরা কিছু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠাই। তুরস্ক শান্ত রইল। ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলো। কিছুদিন পর সেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলো তুরস্ক থেকে উঠিয়ে নিল। 

তুরস্ক: আমার নিরা'পত্তার জন্য এগুলো দরকার।  ন্যাটো: সারাজীবন এগুলো ওখানে রাখতে পারবো না। অনেক খরচ আছে। তুরস্ক: তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আমার কাছে বিক্রি করুক। যুক্তরাষ্ট্র: আমি তোমার কাছে বিক্রি করবো না। 

তুরস্ক :তাহলে আমার রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্র: ফাইজলামি করো? তুমি এগুলো কিনতে পারবে না। তোমার সেই শক্তি নাই। তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পর-

তুরস্ক: আমি রাশিয়ার এস-৪০০ কেনার চু'ক্তি করেছি। যুক্তরাষ্ট্র: একজন ন্যাটো সদস্য হয়ে তুমি এটা করতে পারো না। এটা ন্যাটো চুক্তি পরিপ'ন্থী। তুরস্ক: তোমরা তো একজন ন্যাটো সদস্যের কাছে তোমাদের সিস্টেম বিক্রি করোনি। তাছাড়া অন্য ন্যাটো সদস্যও (গ্রিস) তো রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে।  

যুক্তরাষ্ট্র: গ্রিসের কথা ভিন্ন। সে কিনতে পারবে। কিন্তু তুমি কিনতে পারবে না। তুরস্ক: আমি তো অলরেডি কিনে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্র: কিনলে ওই পর্যন্তই থাকবে তুমি রাশিয়া থেকে ওই এস-৪০০ তুর্কিতে আনতে পারবে না। তুরস্ক: আমি আনবই। যুক্তরাষ্ট্র: সে শক্তি তোমার নেই। রাশিয়ার এস-৪০০ তুর্কিতে আনার পর-

যুক্তরাষ্ট্র: তুরস্ক তুমি এস-৪০০ কিনে এনেছো ভালো কথা। কিন্তু ব্যবহার করতে পারবে না। তুরস্ক: তাহলে আমি কিনে আনলাম কেন? যুক্তরাষ্ট্র: আমার কাছ থেকে কিনতে। তুরস্ক: তুমি তো আমার কাছে বিক্রি করোনি। যুক্তরাষ্ট্র: না, তুমি আমাদেরকে রেখে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছো। তুরস্ক: তুমি তো আমার সঙ্গে শ'ত্রুর মতো আচরণ করছো। 

যুক্তরাষ্ট্র: এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তুমি ন্যাটো প্রতির'ক্ষা সিস্টেমের সঙ্গে ই'ন্টিগ্রে'ট করতে পারবে না। তুরস্ক: আমি তো তা করবো না। যুক্তরাষ্ট্র: এস-৪০০ আমাদের নতুন যু'দ্ধ বিমান এফ -৩৫ এর জন্য বিশাল হু'মকি। তুরস্ক: তাহলে একটা টেকনিক্যাল টিম পাঠাও তারা এসে পরখ করে দেখুক। 

যুক্তরাষ্ট্র: তার আর দরকার নেই। আমি তোমার কাছে এফ-৩৫ যু'দ্ধ বিমান বিক্রি করবো না। তুরস্ক: আমি তো এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। লাখ লাখ ডলার কেন বিনিয়োগ করেছি? যুক্তরাষ্ট্র: তোমাকে ওই উৎপাদনকারী  দেশগুলোর তালিকা থেকে বের করে দিলাম। 

তুরস্ক: আমার যে বিনিয়োগ? যুক্তরাষ্ট্র: গোল্লায় গেছে। তুরস্ক: ঠিক আছে আমি তাহলে এস-৪০০ চালু করবো আর রাশিয়া থেকে সু-২৫ বিমান কিনবো। যুক্তরাষ্ট্র: আচ্ছা তাহলে আমি আমার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তোমার কাছে বিক্রি করবো আর তোমাকে এফ-৩৫ প্রযুক্তিতেও আবার যুক্ত করবো। কিন্তু ওই এস-৪০০ চালু করো না।  

তুরস্ক: ঠিক আছে আসো আলোচনায় বসি। তুমি যে দাম ধরেছো তা বর্তমান বাজার মূল্যের অনেক উপরে। আর তুমি এগুলো যে শেষ পর্যন্ত আমাকে দিবে তার গ্যারান্টি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র: কিনলে তোমাকে এই দামেই কিনতে হবে। আগে টাকা দিবে কিন্তু তোমাকে ডেলিভারির কোনো তারিখ দিতে পারবো না আর কোনো গ্যারান্টিও দিতে পারবো না।  

তুরস্ক: তাহলে আমার দেশে ফ্যাক্টরি করে এখানে যৌথ উৎপাদন করি। যুক্তরাষ্ট্র: না, তা হবে না। তুরস্ক: তাহলে আমি রাশিয়ার এস-৪০০ চালু করবো। যুক্তরাষ্ট্র: তুমি কিছুই করতে পারবে না। আমরা তোমার ঘাড় ম'টকে দিবো। তুরস্ক: আমি তো ন্যাটো সদস্য। তুমি কিভাবে ন্যাটো সদস্যের সঙ্গে শ'ত্রুতা করো।  

যুক্তরাষ্ট্র: তুমি রাশিয়ার কাছ থেকে অ'স্ত্র কিনো কেন? তুরস্ক: তোমরা তো আমার কাছে অ'স্ত্র বিক্রি করছো না। যুক্তরাষ্ট্র: আমরা যা বলবো তোমাকে তাই শুনতে হবে। তুরস্ক: এখন তো আগের সেই জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর মার্কা তুরস্ক নাই। আমরা এখন অনেক শক্তিশালী।

যুক্তরাষ্ট্র: করেই দেখ একবার। খবর: তুরস্ক এস-৪০০ চালু করেছে- যুক্তরাষ্ট্র: তুরস্ক আমাদের সঙ্গে বিশ্বা'সঘা'তকতা করছে। তুরস্ক: বিশ্বাসঘা'তকতা তো তোমরাই শুরু করছো। ই ইউ: তুরস্ক আমাদের থেকে (পশ্চিমা বিশ্ব থেকে) দূরে সরে যাচ্ছে। তুরস্ক: তোমরাই তো আমাকে সরিয়ে দিয়েছো। 

ফ্রান্স: তুরস্কের ইসলামই সব সম'স্যার মূল। তুরস্কের বিরো'ধী দলগুলি: ঠিক ঠিক ঠিক। গ্রিস, আর্মেনীয়া: তুরস্ক উসমানীয় ভাবধারায় ফিরে যাচ্ছে। এটা বিশ্বের জন্য বড় সম'স্যা। বাহরাইন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব: ঠিক ঠিক ঠিক। 

তুরস্ক: তোমরা আমাকে ভুল বুঝছো। সবাই একত্রে: তুমি অনেক বার বাড়ছো। তোমাকে সাইজ করতে হবে। তুরস্ক: আমার জনগণ আর আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। লেখক: সরওয়ার আলম, চিফ রিপোর্টার, আনাদলু নিউজ, তুরস্কতুরস্কের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি 'জনগণ আর আল্লাহ তুরস্কের জন্য যথেষ্ট'

সরওয়ার আলম : তুরস্ক নাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য দেশ। ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী কোনো সদস্য দেশে আ'ক্র'মণ হলে সেটা নাটোর অন্য সবার ওপরে আ'ক্র'মণ। এবং ন্যাটো সে দেশকে র'ক্ষায় তার অ'স্ত্রশ'স্ত্র সৈন্য-সামন্ত নিয়ে হাজির হবে। এখন তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্কের গত ১০ বছরের ঘ'টনা বিবরণী...

তুরস্ক: সিরিয়ার সরকার এবং কুর্দী স'ন্ত্রা'সী গ্রুপ আমার জমিনে আ'ক্র'মণ করছে। সীমান্তে তাদের মর্টার আর মিসা'ইলের আ'ক্র'মণে শত শত তুর্কি নিহ'ত হয়েছে। ন্যাটোর চু'ক্তি অনুযায়ী আমার ওপর আ'ক্র'মণ হলে সব ন্যাটো সদস্য একজোটে মো'কাবে'লা করবে। আসো মো'কাবে'লা করো।  

যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: সবার মো'কাবে'লা করার দরকার নাই। ওগুলো কোনো ব্যাপার না। কুর্দি স'ন্ত্রা'সীরা আমাদের বন্ধু। তাদের বি'রু'দ্ধে আমরা সৈন্য পাঠাবো না। তোমাকে কোনো হেল্পও করবো না। তুরস্ক: আমি প্রায় ৫০ বছর ধ'রে ন্যাটো সদস্য, আমার চেয়ে ওই ক্ষু'দ্র স'ন্ত্রা'সী গোষ্ঠীটি তোমাদের বন্ধু হয়ে গেল? তোমরা কিভাবে স'ন্ত্রা'সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো। তাও আবার তারা তোমাদেরই ন্যাটো সদস্য তুর্কীকে আ'ক্র'মণ করছে। 

যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: আচ্ছা আমরা ভেবে দেখি। তুরস্ক: ভেবে দেখার কী আছে। ওই গোষ্ঠীটিকে তোমরাও তো স'ন্ত্রা'সী হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছিলে। তোমাদের লিস্টেও তো তারা স'ন্ত্রা'সী। তারপরও কেন তোমরা তাদের সঙ্গে? যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: তারা আমাদের স্ট্রাটে'জিক পার্টনার? 

তুরস্ক: স'ন্ত্রা'সী গ্রুপ কিভাবে তোমাদের স্ট্র্যাটে'জিক পা'র্টনার হয়? তোমরা ভুল করছো। যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো: আচ্ছা ঠিক আছে তুমি মুখ বন্ধ করে থাকো। আমরা কিছু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠাই। তুরস্ক শান্ত রইল। ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলো। কিছুদিন পর সেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলো তুরস্ক থেকে উঠিয়ে নিল। 

তুরস্ক: আমার নিরা'পত্তার জন্য এগুলো দরকার।  ন্যাটো: সারাজীবন এগুলো ওখানে রাখতে পারবো না। অনেক খরচ আছে। তুরস্ক: তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আমার কাছে বিক্রি করুক। যুক্তরাষ্ট্র: আমি তোমার কাছে বিক্রি করবো না। 

তুরস্ক :তাহলে আমার রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্র: ফাইজলামি করো? তুমি এগুলো কিনতে পারবে না। তোমার সেই শক্তি নাই। তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পর-

তুরস্ক: আমি রাশিয়ার এস-৪০০ কেনার চু'ক্তি করেছি। যুক্তরাষ্ট্র: একজন ন্যাটো সদস্য হয়ে তুমি এটা করতে পারো না। এটা ন্যাটো চুক্তি পরিপ'ন্থী। তুরস্ক: তোমরা তো একজন ন্যাটো সদস্যের কাছে তোমাদের সিস্টেম বিক্রি করোনি। তাছাড়া অন্য ন্যাটো সদস্যও (গ্রিস) তো রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে।  

যুক্তরাষ্ট্র: গ্রিসের কথা ভিন্ন। সে কিনতে পারবে। কিন্তু তুমি কিনতে পারবে না। তুরস্ক: আমি তো অলরেডি কিনে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্র: কিনলে ওই পর্যন্তই থাকবে তুমি রাশিয়া থেকে ওই এস-৪০০ তুর্কিতে আনতে পারবে না। তুরস্ক: আমি আনবই। যুক্তরাষ্ট্র: সে শক্তি তোমার নেই। রাশিয়ার এস-৪০০ তুর্কিতে আনার পর-

যুক্তরাষ্ট্র: তুরস্ক তুমি এস-৪০০ কিনে এনেছো ভালো কথা। কিন্তু ব্যবহার করতে পারবে না। তুরস্ক: তাহলে আমি কিনে আনলাম কেন? যুক্তরাষ্ট্র: আমার কাছ থেকে কিনতে। তুরস্ক: তুমি তো আমার কাছে বিক্রি করোনি। যুক্তরাষ্ট্র: না, তুমি আমাদেরকে রেখে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছো। তুরস্ক: তুমি তো আমার সঙ্গে শ'ত্রুর মতো আচরণ করছো। 

যুক্তরাষ্ট্র: এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তুমি ন্যাটো প্রতির'ক্ষা সিস্টেমের সঙ্গে ই'ন্টিগ্রে'ট করতে পারবে না। তুরস্ক: আমি তো তা করবো না। যুক্তরাষ্ট্র: এস-৪০০ আমাদের নতুন যু'দ্ধ বিমান এফ -৩৫ এর জন্য বিশাল হু'মকি। তুরস্ক: তাহলে একটা টেকনিক্যাল টিম পাঠাও তারা এসে পরখ করে দেখুক। 

যুক্তরাষ্ট্র: তার আর দরকার নেই। আমি তোমার কাছে এফ-৩৫ যু'দ্ধ বিমান বিক্রি করবো না। তুরস্ক: আমি তো এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। লাখ লাখ ডলার কেন বিনিয়োগ করেছি? যুক্তরাষ্ট্র: তোমাকে ওই উৎপাদনকারী  দেশগুলোর তালিকা থেকে বের করে দিলাম। 

তুরস্ক: আমার যে বিনিয়োগ? যুক্তরাষ্ট্র: গোল্লায় গেছে। তুরস্ক: ঠিক আছে আমি তাহলে এস-৪০০ চালু করবো আর রাশিয়া থেকে সু-২৫ বিমান কিনবো। যুক্তরাষ্ট্র: আচ্ছা তাহলে আমি আমার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তোমার কাছে বিক্রি করবো আর তোমাকে এফ-৩৫ প্রযুক্তিতেও আবার যুক্ত করবো। কিন্তু ওই এস-৪০০ চালু করো না।  

তুরস্ক: ঠিক আছে আসো আলোচনায় বসি। তুমি যে দাম ধরেছো তা বর্তমান বাজার মূল্যের অনেক উপরে। আর তুমি এগুলো যে শেষ পর্যন্ত আমাকে দিবে তার গ্যারান্টি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র: কিনলে তোমাকে এই দামেই কিনতে হবে। আগে টাকা দিবে কিন্তু তোমাকে ডেলিভারির কোনো তারিখ দিতে পারবো না আর কোনো গ্যারান্টিও দিতে পারবো না।  

তুরস্ক: তাহলে আমার দেশে ফ্যাক্টরি করে এখানে যৌথ উৎপাদন করি। যুক্তরাষ্ট্র: না, তা হবে না। তুরস্ক: তাহলে আমি রাশিয়ার এস-৪০০ চালু করবো। যুক্তরাষ্ট্র: তুমি কিছুই করতে পারবে না। আমরা তোমার ঘাড় ম'টকে দিবো। তুরস্ক: আমি তো ন্যাটো সদস্য। তুমি কিভাবে ন্যাটো সদস্যের সঙ্গে শ'ত্রুতা করো।  

যুক্তরাষ্ট্র: তুমি রাশিয়ার কাছ থেকে অ'স্ত্র কিনো কেন? তুরস্ক: তোমরা তো আমার কাছে অ'স্ত্র বিক্রি করছো না। যুক্তরাষ্ট্র: আমরা যা বলবো তোমাকে তাই শুনতে হবে। তুরস্ক: এখন তো আগের সেই জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর মার্কা তুরস্ক নাই। আমরা এখন অনেক শক্তিশালী।

যুক্তরাষ্ট্র: করেই দেখ একবার। খবর: তুরস্ক এস-৪০০ চালু করেছে- যুক্তরাষ্ট্র: তুরস্ক আমাদের সঙ্গে বিশ্বা'সঘা'তকতা করছে। তুরস্ক: বিশ্বাসঘা'তকতা তো তোমরাই শুরু করছো। ই ইউ: তুরস্ক আমাদের থেকে (পশ্চিমা বিশ্ব থেকে) দূরে সরে যাচ্ছে। তুরস্ক: তোমরাই তো আমাকে সরিয়ে দিয়েছো। 

ফ্রান্স: তুরস্কের ইসলামই সব সম'স্যার মূল। তুরস্কের বিরো'ধী দলগুলি: ঠিক ঠিক ঠিক। গ্রিস, আর্মেনীয়া: তুরস্ক উসমানীয় ভাবধারায় ফিরে যাচ্ছে। এটা বিশ্বের জন্য বড় সম'স্যা। বাহরাইন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব: ঠিক ঠিক ঠিক। 

তুরস্ক: তোমরা আমাকে ভুল বুঝছো। সবাই একত্রে: তুমি অনেক বার বাড়ছো। তোমাকে সাইজ করতে হবে। তুরস্ক: আমার জনগণ আর আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। লেখক: সরওয়ার আলম, চিফ রিপোর্টার, আনাদলু নিউজ, তুরস্ক

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে