শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:০৯:০২

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার প্রমাণাদি জমা দিল গাম্বিয়া

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার  প্রমাণাদি জমা দিল গাম্বিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ আবেদন জমা দিয়েছে গাম্বিয়া। গতকাল শুক্রবার জমা দেওয়া ৫০০ পাতার এ আবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য মিয়ানমার সরকারের দায় তুলে ধরা হয়েছে। আবেদনের পক্ষে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণাদিও উপস্থাপন করেছে গাম্বিয়া। গাম্বিয়া গত বছর নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি মামলা করে। আঞ্চলিক মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস-এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের এক কূটনীতিবিদ গাম্বিয়ার এ পূর্ণাঙ্গ আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা রাখাইনে হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত মামলার প্রাথমিক শুনানির পর মিয়ানমারকে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা রোধে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার অর্ন্তবর্তী আদেশ দিয়ে একটি রুল জারি করেন। গাম্বিয়ার প্রাথমিক আবেদনের পর আইসিজে মামলার সমর্থনে বেশ কিছু প্রমাণ পান। এর ভিত্তিতে আদালত মিয়ানমারকে ওই অস্থায়ী আদেশ দেন এবং মামলাটি এগিয়ে নিতে সম্মত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গাম্বিয়া এ পূর্ণাঙ্গ আবেদন জমা দিল।

ফরটিফাই রাইটস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ‘এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রশ্নটি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্যদের প্রতি ব্যাপক নৃশংস আচরণ অব্যাহত রয়েছে।’

গাম্বিয়ার এ আবেদনের পর মিয়ানমার আইসিজেতে একটি পাল্টা-আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবে। ফরটিফাই রাইটস মনে করে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা রোধে এবং গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য মিয়ানমারকে এখনই আইসিজের আদেশ পালন করা উচিত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে