বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৩৫:২৪

ওদের না সরালে সিরিয়ায় নতুন করে সামরিক হা'মলা শুরু হবে : এরদোগান

ওদের না সরালে সিরিয়ায় নতুন করে সামরিক হা'মলা শুরু হবে : এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্তের কাছ থেকে যদি কুর্দি সশ'স্ত্র গ্রুপকে প্রত্যা'হার করা না হয় তাহলে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সামরিক হা'মলা শুরুর হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় কুর্দি যো'দ্ধাদের বি'রু'দ্ধে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক হ'স্তক্ষে'পের বৈধতা আছে তার দেশের। 

বুধবার দেশের পার্লামেন্টে ক্ষ'মতাসীন দলের এমপিদের উদ্দেশে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এদিন তিনি ওই অঞ্চলে টেকসই শান্তি স্থাপন চাইছে না বলে রাশিয়ার বিরু'দ্ধে অভিযো'গ করেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ান বিদ্রো'হীদের টার্গেট করে বিমান হা'মলা চালায় রাশিয়া। 

এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এরদোগান বলেন, যদি সব সন্ত্রা'সীকে প্রত্যা'হার করে নেয়া না হয়, তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারও বলছি, যেকোনো সময় সেখানে হ'স্তক্ষে'প করার বৈধ অধিকার আছে আমাদের এবং এমন হা'মলা চালানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয় আমরা অনুধাবন করতে পারছি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

কয়েকদিন আগে সীমান্তবর্তী প্রদেশ হাতাইয়ের একটি শহরে পুলিশ ধাওয়া করলে সন্দেহভাজন এক কুর্দি যো'দ্ধা নিজেকে বোমায় উড়িয়ে দেন। এ সময় দ্বিতীয় একজনকে হ'ত্যা করে পুলিশ। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, এরা সিরিয়া থেকে তুরস্কে প্রবেশ করেছিল। এর আগে সোমবার প্রথম বিমান হা'মলায় হ'ত্যা করা হয় কয়েক ডজন যো'দ্ধাকে। 

এ বিষয়ে এরদোগান বলেন, সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ফোর্সের প্রশিক্ষণ সেন্টারকে লক্ষ্য করে হা'মলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে এমন এক ই'ঙ্গিত দেয়া হচ্ছে যে, এই অঞ্চলে টেকসই শান্তি ও স্বস্তি প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, জাবালে দেইলা এলাকায় তুরস্কের মদতপুষ্ঠ সশ'স্ত্র গ্রুপের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পে ওই হা'মলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহ'ত হন। ইদলিবে একেই সবচেয়ে ভ'য়াব'হ হা'মলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

মার্চে সেখানেই তুরস্ক-রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি চু'ক্তি হয়েছিল। তারপর সেই এলাকায় এত বড় হা'মলায় ক্ষি'প্ত হয়ে উঠেছেন এরদোগান। সিরিয়া, ককেসাস ও লিবিয়ায় আঙ্কারার সেনাবা'হি'নী মোতায়েনের বিষয়ে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কে ক্রমাগত টান ধ'রেছে। কারণ, ওইসব অঞ্চলে মস্কোরও স্বার্থ আছে। সিরিয়ার দিক দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক হলো রাশিয়া। 

অন্যদিকে বিরো'ধী দলীয় কিছু অংশকে সমর্থন করে তুরস্ক। তুরস্ক সমর্থিত ন্যাশনাল লি'বারে'শন ফ্রন্ট নামের জোটে রয়েছে ১১ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির অংশ। তাদেরকে সমর্থন দেয় আঙ্গারা। তবে তারা তাদের নেটওয়ার্কের বাইরে রাখে হায়াত তাহরির আল শাম’কে। আল কায়েদার সঙ্গে তাদের আগে সম্পর্ক ছিল। তারাই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়ান প্রদেশের সবচেয়ে বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এখন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে