আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে ঘোরার সময় দেখে ফেলেন এক কিশোরীর বাবা-মা। সে সময়ে তারা কিশোরীকে দ্রুত বাড়ি ফেরার নির্দেশ দেন। কিন্তু বাড়ি গেলে যে জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, এমন আতঙ্কে আত্মহত্যা করে বসে ১৬ বছরের কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হুগলির চন্দননগরে।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মৃত কিশোরীর নাম নম্রতা দাস। বাড়ি চন্দননগরের পালপাড়ায়। শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বান্ধবীর জন্মদিনে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। এরপর সোজা যায় তার প্রেমিকের বাড়ি। সেখানে প্রেমিকের জন্মদিন উদযাপন করে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে। তারপর সন্ধ্যায় নম্রতা তার প্রেমিক ও এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরবাইকে করে যাওয়ার পথে নম্রতাকে ওই তরুণের সঙ্গে ঘুরতে দেখেন তার বাবা-মা। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলেন। রক্ষণশীল পরিবারের ওই কিশোরী এতেই অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ে। এরপরই কিশোরী তার প্রেমিক ও বান্ধবীকে জানায় তখনই তাকে বাড়ি ফিরতে হবে। পরে সোজা চলে যায় চন্দননগর হাসপাতাল মোড়ে। যায় এক বান্ধবীর বাড়িতে। তবে বান্ধবীর ফ্ল্যাটে না ঢুকে সোজা সিঁড়ি দিয়ে চারতলার ছাদে উঠে যায় নম্রতা। সেখান থেকেই ঝাঁপ দেয়।
বিষয়টি নজরে পড়তে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর কিশোরীর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করেছে। মেয়ের এমন পরিণতিতে বাকরুদ্ধ কিশোরীর বাবা-মা।সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।