বুধবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:১৪:৩৬

৬ ফিলিস্তিনির কান্ডে হতভম্ব ইসরাইলের প্রশাসন, তোলপাড়ের সৃষ্টি

৬ ফিলিস্তিনির কান্ডে হতভম্ব ইসরাইলের প্রশাসন, তোলপাড়ের সৃষ্টি

এক অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেললেন ৬ ফিলিস্তিনি বন্দি! যে কারগারকে বলা হয় ইসরাইয়েলের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার সেখানে সবাইকে রীতিমতো বোকা বানিয়ে পালিয়েছেন  ফিলিস্তিনি সেই বন্দিরা। তাদের স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাতে  পালাতে সক্ষম হন তারা। খবর আলজাজিরার।

ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, পলাতক ছয় বন্দির মধ্যে চারজন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যে একজন জাকারিয়া জুবায়েদি (৪৬)। তিনি ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা। বাকি পাঁচজন ফিলিস্তিনের ‘ইসলামী জিহাদ’র সদস্য। 

বিষয়টি নিয়ে ইসরাইলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার দিকে আঙুল উঠেছে এবং নিরাপত্তা রক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। কেননা জেনিন শহরে অবস্থিত এই কারাগারটিকে ইসরেইলের ‘সিন্দুক’ বলা হয়। যেখান থেকে বন্দিদের পালানো অসম্ভব বলে মানা হয়। এরপরও ছয় ফিলিস্তিনি বন্দির পালানোর ঘটনায় হতভম্ব ইসরাইলের প্রশাসন।

 ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক তদন্ত বলছে, দায়িত্ব পালন না করে কারাগারের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সুযোগে পালিয়ে যায় ৬ বন্দি। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারের ভেতরের সৌচাগারের মধ্য দিয়ে টানেল খোঁড়েন বন্দিরা। কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় খোঁড়া টানেলটি কারাগারের দেয়ালের বাইরে পর্যন্ত প্রসারিত করেছিলেন তারা। টানেলের বেরিয়া যাওয়ার মুখেই যে ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে সেখানের নিরাপত্তাকর্মী রোববার মধ্যরাতে ঘুমাচ্ছিলেন। 

সেই সুযোগে নির্বিঘ্নে ছয় বন্দি টানেল থেকে বেরিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান। শুধু ওয়াচ টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীই নয়, কারাগারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিরাপত্তাকর্মীরাও একই সময় ঘুমাচ্ছিলেন।

কারণ ছয় ফিলিস্তিনির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পুরোটাই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। অথচ নিরাপত্তাকর্মীরা টেরই পায়নি। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়াচ টাওয়ার এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিরাপত্তাকর্মী একসঙ্গে ঘুমানোর বিষয়টি সন্দেহজনক।

বন্দিরা পালিয়ে যা্ওয়ার পর তাদের খুব ভোরে কারাগারের পাশে কৃষি ক্ষেতে কাজ করতে আসা কৃষকরা কয়েকজনকে দ্রুতগতিতে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। কৃষকরা এসে বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বন্দির সংখ্যা গুনে দেখেন ছয়জন কম।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে