সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২, ০১:১৫:০৬

যে কারনে কাজাখস্তানে সেনা পাঠাল রাশিয়া

যে কারনে কাজাখস্তানে সেনা পাঠাল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেশী কাজাখস্তানের পতনোন্মুখ একনায়ককে বাঁচাতে ট্রাকভর্তি সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। কাজাখস্তানের রাজনৈতিক পরিস্হিতি হঠাত্ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর দ্রুত সাড়া দিয়েছে মস্কো। সোভিয়েত পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন ও সিরিয়ার মতো কোনো কোনো দেশে সৈন্য পাঠালেও কাজাখস্তানে এই সময় সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি অনেকেই ধারণা করেনি। 

বিশ্লেষকরা এর পেছনে মস্কোর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুমান করছেন। যে কোনো দেশ যখন অন্য কোনো দেশে সৈন্য পাঠায় তখন প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সেগুলো হিসাব করেই সেটা করে। যেমন বিদেশের মাটিতে কিছু স্হানীয় লোকের সমর্থন যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি জনগণের একটি অংশের বিরোধিতারও মুখে পড়তে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনার মুখে যেমন পড়তে হবে, একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞারও ঝুঁকি রয়েছে। কাজেই সামরিক হস্তক্ষেপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মূল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হিসাব।

আগ্রাসনকারী যে কোনো দেশ এগুলো বিবেচনা করেই তা করে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের জের রাশিয়া এখনো টেনে চালাচ্ছে। এমতাবস্হায় দেশটি নতুন করে কোথাও সামরিক অভিযান চালাবে তা সংগত কারণেই প্রত্যাশিত ছিল না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে কাজাখস্তানে জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। ২ জানুয়ারি এই বিক্ষোভ চরমে পৌঁছে, ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। 

এই বিক্ষোভ মূলত রাজনৈতিকের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত ছিল না। কিন্তু মস্কোর নীতিনির্ধারণী মহল ধারণা করে থাকতে পারে যে, রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো এলাকা জুড়ে। রাশিয়ার কাজাখস্তানে সৈন্য পাঠানোর ঘটনার সঙ্গে ২০১৪ সালে ইউক্রেন বা ২০০৮ সালে জর্জিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের সঙ্গে ঠিক তুলনা করা যায় না। কারণ জর্জিয়া বা ইউক্রেন সিএসটিও চুক্তিভুক্ত ছিল না। 

সামরিক মৈত্রী চুক্তি আছে, এমন কোনো দেশে রাশিয়ার সৈন্য পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম। সিএসটিও চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আছে আর্মিনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমরাত তোকায়েভের পক্ষ থেকে অনুরোধ আসার পর মস্কো সেখানে সৈন্য পাঠায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে উদ্ভূত জনবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর কাজাখ সরকার সেই অনুরোধ করে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে