আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করার মাত্র দু’সপ্তাহ পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক পিএইচডি গবেষক। তিনি ভারতের হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছরের রিসার্চ স্কলার রোহিত ভেমুলা। সুইসাইড নোটে রোহিত লেখেন, ‘আমার জন্য চোখের জল ফেলতে হবে না। কারণ বেঁচে থাকার চেয়ে আমি মৃত্যুতেই খুশি।’ রোহিতের স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করার। কার্ল সাগানের মতো লেখক হতে চেয়েছিলেন তিনি।
রবিবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহনন করেন পিএইচডি গবেষক রোহিত। তাঁর দেহ ঘিরে সারা রাত বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানান তাঁরা।
গত কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে একটি তাবুতেই দিন কাটাচ্ছিলেন রোহিতসহ পাঁচ পিএইচডি গবেষক। তাঁরা সকলেই আম্বেদকর ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। গত অগাস্ট মাসে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেননের ফাঁসির প্রতিবাদে আন্দোলন করার সময় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থীর কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। যদিও প্রথমিক তদন্তের পর অবশ্য তাঁদের উপর থেকে শাস্তি তুলে নেওয়া হয়।
কিন্তু ছাত্রদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বান্দারু দত্তাত্রেয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লেখার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণবিদ্বেষী, চরমপন্থী ও জাতীয়তাবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। এর পরই গত ২১ ডিসেম্বর ওই পাঁচ গবেষককে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমন এলাকাগুলিতে তাঁদের বয়কট করা হয়। তাঁদের বন্ধুদের কথায় এটা ছিল সামাজিক বয়কট। এর পরই আত্মহত্যা করেন রোহিত।
১৮ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস