আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা জেন রস তার গ্যারেজে ঢুকে কয়েকটা বালতি এলোমেলো দেখে ভেবেছিলেন, পারিবারিক বিড়াল কোকো পাখি ধরে আনাতেই হুটোপুটি করে এ কাণ্ড হয়েছে। তবে ভালো করে তত্ত্বতালাশ করে দেখা গেল সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েছে আস্ত একটা সীল। সেই এসবের জন্য দায়ী।
কমবয়সী সীলটি সমুদ্র থেকে প্রায় দেড়শ মিটার দূরে বাড়িটিতে প্রবেশ করে খেয়ালমত ঘুরছিল। বিড়াল ঢোকার পথ দিয়ে সে ঢুকেছিল ঘরে। সম্ভবত কোকো নামে বিড়ালেরই সন্ধানে।
মাউন্ট মাউঙ্গানুইর বাসিন্দা জেন রসের স্বামী ফল রস একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী। ঘরে সামুদ্রিক প্রাণী ‘অনুপ্রবেশ করায়’ তারই ওই সময় বাড়িতে থাকা দরকার ছিল সবচেয়ে বেশি। দুর্ভাগ্যবশত, পরিবারের মধ্যে শুধু তিনিই তখন বাড়িতে ছিলেন না।
কিছু ছবির জন্য পোজ দেওয়ার পরে সীলটি সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন তাকে সাগেরে ছেড়ে দেয়।
ফিল রস বলেছেন, সীলটি প্রায় ১০ মাস বয়সী হতে পারে। তারা তাকে একটি কৌতুহলী ‘কিশোর’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। দিয়েছেন ‘অস্কার’ বলে এক ডাকনামও!
সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী রসের মতে, এই বয়সের সীলরা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন, খারাপ আবহাওয়ায় সাঁতার কাটতে বের হওয়া এবং তারপর এসময় ক্লান্ত হয়ে বিশ্রামের জন্য ডাঙার দিকে পিছিয়ে আসা।
ফিল রস আরো বলেন, নিউজিল্যান্ডের ওই এলাকার সৈকতে ও পথে কখনো কখনো ফার সীল পাওয়া সাধারণ ঘটনা হলেও তাদের মানুষের ঘরবাড়িতে প্রবেশ অস্বাভাবিক।
জেন রস তার দুই সন্তান নোয়া (১২) ও আরি (১০) ডেকে এনে অস্কারকে দেখান। তবে সীলটি ‘গর্জন করায়’ তারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন।
সীলের আবির্ভাব বাড়ির বিড়াল কোকোকেও হতভম্ব করে দিয়েছিল। সে ভড়কে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। । এ ছাড়া সীলটি বাড়িতে কোনো সমস্যা করেনি। সূত্র: বিবিসি